যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেনে হামলা চালানোর জন্য মস্কো একটি ‘অজুহাত’ খুঁজছে। এই অবস্থায় উত্তেজনা কমানোর জন্য কূটনৈতিক পথ অনুসরণ করার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কি।
রোববার হোয়াইট হাউজ বলেছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এ বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন যে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যেকোনো আগ্রাসন যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্র ও অংশীদারদের সাথে নিয়ে সন্দেহাতীতভাবে ‘দ্রুত’ জবাব দিবে।
জেলেনস্কির অফিস বলেছে, রাশিয়া যদি তার পশ্চিম প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে আক্রমণ করে তবে তার বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা নিয়ে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সিবিএস নিউজকে বলেছিলেন যে গত ১০দিনে রাশিয়ার বাহিনীর কার্যক্রমে ‘নাটকীয় উত্তেজনা’ দেখা গেছে। তারা ‘মূলত যে কোনো সময় একটি সামরিক পদক্ষেপ শুরু করতে পারে’।
সুলিভান বলেছেন, আমরা খুব সতর্কতার সাথে পর্যপেক্ষণ করছি যে রাশিয়ান গোয়েন্দা পরিষেবাগুলি পূর্ব ইউক্রেনে রুশপন্থী (প্রক্সি) বহিনী বা রাশিয়ান নাগরিকদের উপর হামলা চালিয়ে ইউক্রেনীয়দের দোষারোপ করে কিনা। কারণ এরমাধ্যমে তার মিথ্যা অজুহাতে পতাকা অভিযান শুরু করতে পারে।
ইউক্রেন সীমান্তে ১ লাখ সৈন্য মোতায়েন করেছে রাশিয়া। তবে দেশটি বলছে, এটি কোনো সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা নয়। তবে ইউক্রেনকে ন্যাটো সামরিক জোটের অংশ হতে দেয়া হবে না। ক্রেমলিন বিশ্বাস করে পূর্ব ইউরোপে ন্যাটো সম্প্রসারণ তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
সূত্র : আল জাজিরা