আধুনিক প্রযুক্তির এই যুগে স্মার্টফোন ছাড়া যেন আমাদের চলেই না। একটু সময় পেলেই হলো। সারাক্ষণ শুধু স্মার্টফোন নিয়েই পড়ে থাকি। আগের মতো এখন আর বই পড়া তেমন হয়ে ওঠে না। দুপুরে কিংবা রাতে ঘুমানোর আগে বই পড়ার সেই অভ্যাস এখন প্রায়-অতীত। রাতে বই পড়ার চেয়ে ওয়েব সিরিজ দেখার নেশায় ডুবেছেন অনেকেই। অথচ বই পড়লে কেবল জ্ঞান-বুদ্ধি বাড়বে এমনটা কিন্তু নয়, শরীর সুস্থ রাখতেও এই অভ্যাস দারুণভাবে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা করে বই পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা বলেন, ‘আসলে বই পড়ার সময় আমাদের মস্তিষ্কের ভিতরে বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে, যার প্রভাবে একাধিক রোগ-ব্যাধি দূর হয়।’ এবার জেনে নিন বই পড়লে ঠিক কী কী সুফল পেতে পারেন…
১) বই পড়লে আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়ে। বই পড়ার সময় মস্তিষ্কের যে অংশটি স্মৃতি ধরে রাখার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, সেই অংশটি বিশেষভাবে সক্রিয় হয়। তাই বই পড়লে মনে রাখার ক্ষমতা অনেকটাই বাড়ে।
২) রাতে ঘুম আসতে দেরি হয়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বই পড়ার সময় এমন কিছু হরমোনের ক্ষরণ হয়, যা ঘুমিয়ে পড়তে সাহায্য করে। তাই রাতে শান্তিতে ঘুমাতে চাইলে রাতে কিছুক্ষণ বই পড়ে শুয়ে পড়লে ক্ষতি কী?
৩) এখনকার জীবনযাত্রায় সকলেই বড্ড বেশি দুশ্চিন্তা করেন। মন এবং মস্তিষ্কের ক্লান্তি দূর করতে বইয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব করুন। দুশ্চিন্তা কমানোর ক্ষেত্রে বই হতেই পারে অন্যতম হাতিয়ার।
৪) কর্মক্ষেত্রে হোক কিংবা পড়াশোনায়, যেকোনো ক্ষেত্রেই উন্নতি করতে গেলে মনোযোগ সহকারে সেই কাজটি করা একান্ত প্রয়োজন। আর এ ক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে বই। প্রতিদিন বই পড়লে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে উন্নতি ঘটে মনঃসংযোগের ক্ষমতারও।
৫) বই পড়লে বাড়তে পারে আয়ুও। আদৌ কী এমনটা সম্ভব হয়, ভাবছেন নিশ্চয়? বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত বই পড়েন এমন মানুষ অন্যদের তুলনায় দীর্ঘজীবী হন।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, বই মানে কিন্তু কাগজে ছাপা বই-ই পড়তে হবে। মোবাইল বা ট্যাবের আলোকিত পর্দায় বই পড়লে সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা কম। আধুনিক জীবনের সঙ্গে তাল রেখে ব্যবহার করা যেতে পারে ই-বুক রিডারও। কারণ তার পর্দা থেকে আলো বিচ্ছুরিত হয় না।
সূত্র: আমাদের সময়.কম