অবশেষে মারা গেল অটোচালক বিল্লাল হোসেন (২০)। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিল্লাল তার বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে বের হয়। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরির পর রাত ৯টার দিকে নিজ বাড়ি কাকনীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বিল্লাল। পরে ঢাকা -হালুয়াঘাট আঞ্চলিক মহাসড়কে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ইমাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে যাওয়ার পর শেরপুরগামী ড্রীমল্যান্ড পরিবহনের একটি গাড়ি তার অটোরিকশাকে চাপা দিলে তার চার বন্ধু রয়েল (১৫), সঞ্জয় দাস (১৭), নীরব (১৮), নাঈম (২১) ও বিল্লালসহ তারা সবাই গুরুতর আহত হন। পরে খবর পেয়ে ফুলপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ আল আমিনের নেতৃত্বে একদল কর্মী দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর রয়েল (১৫) ব্যতিত বাকি ৪জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আর রয়েলকে ফুলপুর হাসপাতালেই ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর বিল্লালের অবস্থার অবনতি ঘটলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ধারণা করা হচ্ছে, পথেই বিল্লালের মৃত্যু হয়েছে।
জানা যায়, বিল্লাল কাকনী দারুস সুন্নাহ মাদরাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র ছিল। তার বাবা আবদুল মালেক একজন অটোচালক। বিল্লাল দুই বছর আগে লেখাপড়া ছেড়ে বাড়িতেই থাকতো। পরে গত এক মাস ধরে সে অটো চালাতো। একমাত্র ছেলে বিল্লালের মৃত্যুতে তার মা-বাবা ও দুই বোনসহ আত্মীয় স্বজনের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
ফুলপুর থানার ওসি তদন্ত আব্দুল মোতালিব চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে তার জন্য দোয়া চাওয়া হয়েছে।
সূত্র: বিডি-প্রতিদিন