বর্তমান পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে ইউক্রেনে মার্শাল ল’ ঘোষণা করার চিন্তা করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেন্সকি। এজন্য দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি ও ডিফেন্স কাউন্সিলের এক জরুরি বৈঠক ডাকতে যাচ্ছেন তিনি।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি জানিয়েছে, ইউক্রেনের উপর রাশিয়া মিসাইল নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেন্সকি। দেশটির অবকাঠামো এবং বর্ডার গার্ডকে লক্ষ্য করেই এই মিসাইলগুলো ছোড়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
তবে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলছেন, তার দেশের ছোড়া মিসাইলগুলো ইউক্রেনের সামরিক অবকাঠামোগুলোতে আঘাত হানছে। দেশটির বেসামরিক অবকাঠামোতে আঘাত করার কথা তারা অস্বীকার করেছে।
এদিকে, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই এর বিরোধিতা করতে শুরু করেছে বিশ্বের প্রভাবশালী নেতারা। তবে তাদের কথাকে অগ্রাহ্য করেই কিয়েভের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালানো শুরু করেছে রাশিয়ার সেনারা।
দেশটির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে সেখানে কর্মরত বিসিসি ও সিএনএনের সংবাদকর্মীরা। তবে এই সামরিক অভিযানকে একটি বিশেষ অভিযান হিসেবে আখ্যা দিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনকে নিজেদের আওতায় নিয়ে আসার কোন পরিকল্পনা তাদের নেই। দেশ কার হাতে থাকবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দেশটির জনগণ।
এদিকে, এই অভিযানকে একটি পূর্ণ সামরিক আগ্রাসন হিসেবে দেখছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে সামারিক আগ্রাসন শুরু করেছে রাশিয়া। তবে এই যুদ্ধে ইউক্রেন অবশ্যই জয়লাভ করবে। বিশ্ববাসী চাইলে এই যুদ্ধ থামানো সম্ভব। কোন পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সঠিক সময়।
অন্যদিকে, ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেনস স্টোলেনবার্গ ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এটা সম্পূর্নভাবে আন্তর্জান্তিক আইনের লঙ্ঘন এবং ইউরো-আটলান্টিক দেশগুলোর জন্য প্রবল হুমকিস্বরূপ।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী লিজ ট্রসও ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কোন রকম উসকানি ছাড়াই ইউক্রেনীয়দের ওপর হামলা করেছেন পুতিন। তার দেশ ইউক্রেনের পাশে আছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক মিত্ররা একত্রিত হয়ে এই হামলার সমুচিত জবাব দেবেন।
সূত্র; আমাদের সময়.কম