সুদর্শন অভিনেতা মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। যার অভিনয়ের দ্যুতি টেলিভিশন, সিনেমা ও মডেলিং-এর জগতকে করেছে আলোড়িত। এ অভিনেতা এই তিন মাধ্যমেই দর্শকদের মন জয় করেছেন বহু আগেই। আগের তুলনায় তার পর্দায় উপস্থিতি তেমন চোখে পড়ে না। কেমন আছেন তিনি? বর্তমানে ব্যস্ততা কি নিয়ে? মানস তার চিরচেনা বিনয়ের ভঙ্গিতে বলেন, ভালো আছি। বর্তমানে শাপলা মিডিয়ার ‘কন্ট্রাক্ট ম্যারেজ’ সিনেমাটিতে অভিনয় করছি। কমল সরকারের পরিচালনায় এ সিনেমায় পরিবারের বড় আব্বু চরিত্রে অভিনয় করছি। আমি যে চরিত্রটিতে অভিনয় করছি বাঙালি প্রতিটি পরিবারে এমন একজন কর্তা থাকেন যার কথা-নির্দেশ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বিনা শর্তে মেনে চলেন।
আপনিতো চলচ্চিত্রের চেয়ে টেলিভিশন নাটকে বেশি জনপ্রিয়? আর চলচ্চিত্রে আপনার হিরোইজমটা সিনে দর্শক গ্রহণ করেনি সেভাবে।
আপনি কি মনে করেন? এই অভিনেতা বলেন, আমি যখন সিনেমায় অভিনয়ে এলাম তখন তো নায়ক রাজ রাজ্জাক, সোহেল রানা, আলমগীর ভাইদের সিনেমায় একচ্ছত্র আধিপত্য। তখন তারা রানিং অভিনয় করে চলেছেন। এর পরই মান্না, আমিন খান, অমিত হাসান চুটিয়ে কাজ করেছেন সিনেমায়। এত জনপ্রিয় অভিনেতাদের মাঝখানে আমার মতো একজন নবীনের সমান সুযোগ পাওয়া কঠিন ছিল। ছোট পর্দায় একবার কোনো অভিনেতা যদি ইমেজবন্দি হয়ে পড়েন তখন কিন্তু রূপালী পর্দায় নিজেকে প্রমাণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
ছোট পর্দার অভিনেতাদের চলচ্চিত্রে সাফল্যের ইতিহাস খুবই কম। ব্যতিক্রম ছিলেন একমাত্র প্রয়াত হুমায়ুন ফরিদী ভাই। মাঝে অভিনয়ে বিরতি কেন? মানস বলেন, ঠিক বিরতি বলা যাবে না। ইস্পাহানী আরিফের সিনেমা ‘হৃদিতা’ রিলিজ হলো। দর্শকরা প্রশংসা করেছে। ইতিমধ্যে শেষ করলাম নিরঞ্জন বিশ্বাসের সিনেমা ‘আপন পর’। পারিবারিক মেলোড্রামার সিনেমাটিতে আবহমান বাঙালি পরিবারের গল্প রয়েছে। রাজ্জাক ভাই শেষের দিকে সিনেমায় যে ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতেন ‘আপন পর’ সিনেমাটিতে আমার চরিত্র অনেকটা সেই ধরনের। পরিবারের জন্য নিজের জীবনকে বিলিয়ে দেয়া আর পরিণামে প্রাপ্তি অবজ্ঞা আর অবহেলা।
এছাড়া ‘ময়না’ নামে স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমায় কাজ করলাম। বড় পর্দার বাইরে চ্যানেল আই’র জন্য নির্মিত ‘শুভরাত্রি’ নাটকে অভিনয় করেছি। পরিচালক আদনানের নাটকে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করবো। কথা চূড়ান্ত হয়েছে। ওয়েব সিরিজ, টিভিসি, ওভিসিতে অনেকগুলো প্রস্তাব হাতে রয়েছে। গল্প, চরিত্র পছন্দ হলে কাজ শুরু করবো।
সূত্র: মানবজমিন