রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশের সেনাবাহিনীকে ইউক্রেনে ‘বিশেষ অভিযান’ পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশনার পর গত বৃহস্পতিবার রুশ সেনারা স্থল, আকাশ ও নৌপথে ইউক্রেনে আক্রমণ করে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে। রুশ আক্রমণ প্রতিরোধে ন্যাটো দেশগুলো ইউক্রেনে সামরিক সহযোগিতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদান করছে।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র নিরাপদ স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। যুক্তরাষ্ট্র গতমাসে জেলেনস্কিকে এই স্যাটেলাইট ফোন প্রদান করে।
দুইজন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুদ্ধ শুরুর পূর্বে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপদ যোগাযোগ হতো কিয়েভে দূতাবাসের মাধ্যমে। যুদ্ধের আশঙ্কা টের পেয়ে যুক্তরাষ্ট্র যখন কিয়েভ থেকে দূতাবাস খালি করা শুরু করে— ওই সময় জেলেনস্কিকে একটি ফোন উপহার দেওয়া হয়। সেই ফোনটিই এখন তিনি ব্যবহার করছেন।
সিএনএনের খবর অনুসারে, এই ফোনের সহায়তায় জেলনস্কির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র নিয়মতি যোগাযোগ রাখছে। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দীর্ঘ ৩০ মিনিট কথা বলেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রাশিয়ার আক্রমণের মধ্যেও দেশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। বর্তমান তিনি কিয়েভের নিরাপত্তা সুরক্ষিত স্থানে চলাফেরা করছেন।
রুশ হামলার মধ্যেও জেলেনস্কিকে বিভিন্ন স্থাপনা এবং পরিচিত ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে লাইভে কথা বলতে দেখা গেছে। কিন্তু মঙ্গলবার তিনি ইউরোপীয়ান সংসদে বক্তব্য দেন ‘চিহ্নিত করা সম্ভব নয়’ এমনটি কক্ষ থেকে। ওই কক্ষে ইউক্রেনের পতাকা টানানো ছিল।
মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবাকেও যুক্তরাষ্ট্র একটি স্যাটেলাইট ফোন প্রদান করেছে।
এই ফোনে বিদ্যুতের সাহায্যে চার্জ দিতে হয়। তবে বিদ্যুতের অভাবে জেনারেটর কিংবা গাড়িতেও চার্জ দেওয়া যায়।
স্যাটেলাইট ফোনের ব্যবহার জানতে ইউক্রেনিয়ানদের বেশ কয়েকদিন সময় লেগেছে। কারণ, এটির ব্যবহার নির্দেশিকা ইংরেজি ভাষায় ছিল; ইউক্রেনের ভাষায় নয়।
সূত্র: যুগান্তর