কক্সবাজারের টেকনাফ সদর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর এলাকায় একদিনে দুটি মাছ ধরার ফিশিং বোট থেকে মালামাল লুট ও এক জেলেকে অপহরণ করেছে জলদস্যুরা।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর পর্যন্ত টেকনাফ সদরের মহেশখালীয়া পাড়া হ্যাচারী পয়েন্টের পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে প্রায় ৮/৯ বাইন এলাকায় জলদস্যুরা ফিশিং বোট থেকে মাছ, ডিজেল, মোবাইল ফোন জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তখন এক জেলেকে অপহরণ করা হয়।
এতে আতঙ্কিত জেলেরা সাগরে মাছ না ধরেই বোট নিয়ে কূলে ফিরে আসেন। এ ঘটনায় এফভি মেসার্স ইয়াছির আরফাত নামের ফিশিং বোটের মালিক আবুল কালাম বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে টেকনাফের পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে প্রায় ৮/৯ বাইন এলাকায় ফিশিং বোট সাগরে গিয়ে ৮ মাঝিমাল্লা মাছ শিকার করছিল। একপর্যায়ে মা-বাবার দোয়া-২ নামের একটি ট্রলার থেকে ২২/২৫ জন জলদস্যু আবুল কালামের মালিকানাধীন এফবি ইয়াছির আরফাত ফিশিং বোটের ইঞ্জিন চালক শুক্কুর নামে এক জেলেকে অপহরণ করা হয়। আর হাফেজ উল্লাহ ও মো. হোসেনকে ব্যাপক মারধর করে আহত করা হয়।
তখন ফিশিং বোটে থাকা ইলিশ মাছসহ অন্যান্য মাছ প্রায় ৩ মণ, যার মূল্য আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা, ১৫০ লিটার ডিজেল, মূল্য আনুমানিক ১২ হাজার ৩০০ টাকা, ৬টি মােবাইল ফোন, মূল্য আনুমানিক ৩০ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়া যায়। অপর একটি ফিশিং বোটের এক জেলেকে হাতের রগ কেটে গুরুতর আহত করা হয়।
জলদস্যুদের হাতে অপহৃত শুক্করের পরিবারে আতঙ্কে রয়েছেন। এর মধ্যে অপহৃত জেলের কক্সবাজারসহ বিভিন্ন সম্ভাব্য স্থানে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
অপহরণের শিকার ফিশিং বোটের মালিক ও জেলেরা জানান, বঙ্গোপসাগরের টেকনাফের মহেশখালিয়া পাড়া পশ্চিম ৮/৯ বাইন এলাকায় মাছ ধরার সময় এফবি মা-বাবার দোয়া-২ নামে একটি ২৫ জনের একটি জলদস্যু গ্রুপ হানা দেয়। বোটে থাকা মাছ, ডিজেল, মোবাইল ফোন জোরপূর্বক ডাকাতি করে নিয়ে যায়।
জেলেরা আরও জানান, জলদস্যুদের বেশ কয়েকটি গ্রুপ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। ফিশিং বোটের মালিকরা সাগরে ডাকাতি রোধে কোস্টগার্ডের তৎপরতা বৃদ্ধি, সি-গার্ড গঠন, ড্রোন মোতায়েন ও মেরিন র্যাব প্রতিষ্ঠার জোর দাবি জানন।
এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিল্টন মন্ডল বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
সূত্র: বিডি প্রতিদিন