সব ঠিক থাকলে মাঠ মাতানোর কথা ছিল তাদের। কিন্তু দেশের ঘোর বিপদের মুহূর্তে ইউক্রেইনের অনেক খেলোয়াড়ের মতো হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন ভিতালি সাপিলো ও দিমিত্রো মার্তিয়েঙ্কো। রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে প্রাণ দিতে হয়েছে এই দুই ফুটবলারকে।
গণমাধ্যমে তাদের মৃত্যুর খবর আসার পর মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে পোস্ট দিয়ে সমবেদনা জানায় পেশাদার ফুটবলারদের জন্য বিশ্বব্যাপী সংগঠন ফিফপ্রো।
`ফুটবলারদের মধ্যে এই যুদ্ধে খবরে আসা প্রথম প্রাণ হারানো তরুণ ইউক্রেইনিয়ান ফুটবলার ভিতালি সাপিলো ও দিমিত্রো মার্তিয়েঙ্কোর পরিবার, বন্ধু ও সতীর্থদের প্রতি আমাদের সমবেদনা । দুজনের আত্মা শান্তিতে থাকুক।’
২১ বছর বয়সী সাপিলো খেলতেন ইউক্রেইনের ক্লাব কার্পাতি লাভিভের যুব দলে। দেশটির রাজধানী কিয়েভের কাছে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তিনি মারা যান বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
মার্টিনেঙ্কো খেলতেন এফসি গস্তোমেলের হয়ে। রাশিয়ান বাহিনীর বোমা হামলায় নিজ বাড়িতে মারা যান ২৫ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
ইউরোপের দুই প্রতিবেশী দেশের কয়েক সপ্তাহের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণার পর ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে স্থল, আকাশ ও সমুদ্রে পথে সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করে রুশ বাহিনী। এরপর গত সাত দিনে দেশকে রক্ষায় যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন ইউক্রেইনের বেশ কয়েকজন অ্যাথলেট।
সূত্র: নয়াদিগন্ত