ইউক্রেনের আকাশে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা না করায় ন্যাটোর প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের বিবৃতি জানার পর পরই জেলেনস্কি তার ফেসবুকে এ প্রতিক্রিয়া জানান। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, ন্যাটোর দেশগুলো এমন একটা বিষয় দাঁড় করিয়েছে যে ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধ করা হলে রাশিয়া ন্যাটোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে। যারা দুর্বল এবং ভেতরে ভেতরে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে এটা তাদের নিজেদের প্রবোধ দেওয়া ছাড়া কিছু নয়। অথচ তাদের (ন্যাটোর) কাছে কিনা আমাদের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি শক্তিশালী অস্ত্র আছে।’
এর আগে ইউক্রেনের ‘নো ফ্লাই জোন’ প্রস্তাব নাকচ করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এমনটা করা হলে গোটা ইউরোপজুড়ে যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। তবে ব্লিনকেন এও বলেছেন, তিনি মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাবেন, যেন তারা রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো যথেষ্ট সমর্থন পায়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কয়েকটি কারণে ন্যাটো মূলত নো ফ্লাই জোন নিয়ে ভাবছেন না। প্রথমত, ইউক্রেন কিংবা রাশিয়া কেউই ন্যাটোভুক্ত দেশ নয়। এ ছাড়া নো ফ্লাই জোন ঘোষণার আরেক অর্থ হলো- রুশ যুদ্ধবিমানে ন্যাটোর হামলা। যা করা হলে পরমাণু শক্তিধর রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপের যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা আছে এবং তাতে আরও বড় আকারে প্রাণহানি ঘটতে পারে।
এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ইউক্রেনে ‘নো ফ্লাই জোন’ প্রতিষ্ঠার আবেদন প্রত্যাখ্যান করায় ন্যাটোর নেতাদের নিন্দা জানিয়ে নিজের ক্ষোভের কথা জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আজ থেকে যারা নিহত হবেন তাদের মৃত্যুর কারণ আপনারা। এগুলো ঘটবে আপনাদের দুর্বলতা ও বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে।’
জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘যদি ইউক্রেন না বাঁচে তাহলে পুরো ইউরোপ বাঁচবে না। যদি ইউক্রেনের পতন হয় তবে পুরো ইউরোপের পতন হবে।’
এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের ‘দোনবাস অঞ্চলে’ সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন।
সূত্র: আমাদের সময়.কম