৫২ বছর বয়সে হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি স্পিনার শেন ওয়ার্ন। ওয়ার্নের অকাল মৃত্যুতে ক্রিকেট বিশ্বে শোকের ছায়া নেমে পড়ে। বিশ্বের অগণিত ক্রিকেটার, ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব শেন ওয়ার্নের শোকে মুহ্যমান। শেন ওয়ার্নকে বিশ্বের লদ্ধ প্রতিষ্ঠিত প্রায় ক্রিকেটারই কোন না কোন মন্তব্য করেছেন। সেই বিশাল তালিকায় আছেন আরেক বিশ্ব নন্দিত লেগস্পিনার রশিদ খানও।
গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা শুরুর আগে শেন ওয়ার্নের প্রয়ান নিয়ে নিজের অনুভুতি ব্যক্ত করতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন রশিদ। অনেক কথার ভিড়ে রশিদ বলে ওঠেন, ‘এটা আসলে সবার জন্যই এক অবিশ্বাস্য দুঃখের, কষ্টের আর শোকের দিন।’
ওয়ার্নের মৃত্যুর খবর শোনার মুহূর্তে তার কি প্রকিক্রিয়া হয়েছিল? জানতে চাইলে রশিদ বলেন, ‘যে মুহূর্তে তার মৃত্যুর খবরটি শুনলাম তখন আমার ঘুরে ফিরে মনে হচ্ছিল মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব মাঠে তার সঙ্গে খেলার সেই সুখস্মৃতি।’
‘শেন ওয়ার্ন ছিলেন আমার দারুন শুভাকাঙ্খি এবং তিনি যে আমার জন্য কতটা ভালো ছিলেন, বলে বোঝানো যাবে না। যিনি তার পুরো অভিজ্ঞতাটাই আমার সঙ্গে শেয়ার করতে চেয়েছেন।’
ওয়ার্নের মৃত্যুর খবরে চরম বিস্মিত আফগান স্পিন লিজেন্ড রশিদ বলেন, ‘আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি আমার ফোন বারবার চেক করেছি এবং খুঁটিয়ে দেখেছি কাল রাতে আসলে কী হয়েছিল?’
রশিদ যোগ করেন, ‘এটা এক অবিশ্বাস্য ঘটনা এবং মেনে নেয়াও খুব কঠিন। তবে এটা জীবনের অংশ। আমাদের সবাইকে একদিন সেই পরিণতি হবে এবং তাই মেনেও নিতে হবে।’
বিগ ব্যাশ খেলার সময় একদিন মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের বক্সিং ডে টেস্ট (২০১৯) শেন ওয়ার্নের সঙ্গে এক টেস্ট চলকালীন বিরতির সময় তার বোলিং করার সুযোগ হয়। সে স্মৃতি এখনো অটুট রশিদের।
সে সুখ¯স্মৃতি টেনে বলেন, সেটা আমার জন্য ছিল দারুণ গর্বের। আমি ওয়ার্নের সঙ্গে বোলিং করেছি। আমার লেগ স্পিন নিয়ে তার সঙ্গে অনেক কথাবার্তাও হয়েছে। আমি চেয়েছিলাম আমার টেস্ট বোলিং নিয়ে তার কাছ থেকে পরামর্শ নিতে। তিনি আমাকে কল দিয়ে দীর্ঘ পরিসরের খেলা নিয়ে অনেক কথা বলেন। তার খেলোয়াড়ি জীবনের অনেক কিছুই শেয়ার করেন। এটা ভেবেই খুব খারাপ লাগছে যে আমি আর কখনো ওই রকম কিছু শেয়ার করতে পারবো না।
সূত্র: বিডি প্রতিদিন