কক্সবাজারের ইনানীর সমুদ্র পাড়ে একটি তারকা মানের হোটেলে মারফুয়া খানম নামে এক তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী পরিচয় দেওয়া যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে ওই তরুণীকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
হোটেল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার সকালে মারফুয়া খানম (২৩) ও নাছির উদ্দিন (২৬) নামে দুইজন স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলটিতে উঠেন। এরপর তারা ব্যাগসহ অন্যান্য জিনিসপত্র হোটেল কক্ষে রেখে সমুদ্র সৈকতে নামেন। দুপুরে খাবার শেষে নিজেদের কক্ষে অবস্থান নেন দুইজন।
বিকেলে নাছির উদ্দিন নামে ওই যুবক হঠাৎ তরুণীর শ্বাস কষ্টজনিত গুরুতর সমস্যার কথা জানালে তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক তরুণী মারফুয়া খানমকে মৃত ঘোষণা করেন।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, তরুণীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। একইসঙ্গে তথাকথিত স্বামী পরিচয় দেওয়া নাছির উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। নাছির উদ্দিনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা আদৌ স্বামী-স্ত্রী নন, প্রেমিক-প্রেমিকা বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
এ ঘটনায় মৃত তরুণীর অভিভাবকদের কাছে খবর পাঠানো হয়েছে। তারা কক্সবাজারে পৌঁছানোর পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চারদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর লাবনী আকতার (১৯) নামে এক পর্যটক তরুণী মারা গেছেন। গত ১১ মে ঢাকা থেকে চার বন্ধুর সঙ্গে কক্সবাজারে বেড়াতে এসে কক্সবাজার শহরের কলাতলী হোটেলে উঠে ওই তরুণী। গত ১৪ মে সকালে সেখানে অতিরিক্ত মদ্যপানে তরুণীটি অসুস্থ হয়ে পড়লে সাথে থাকা বন্ধুরা তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় তরুণীর সঙ্গে আসা চার বন্ধুর মধ্যে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন, ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকার মো. জাহাঙ্গীরের ছেলে কামরুল আলম (২০) ও আবদুর রহমানের ছেলে আরিফ রহমান নিলু (২১)। মৃত লাবণী আকতার যাত্রাবাড়ীর মনির হোসেনের কন্যা।