সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় নির্ধারিত ২০ নম্বর বিভাজন সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
উপসচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দীনের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কেন্দ্রীয় প্রাথমিক শিক্ষক নির্বাচন কমিটির ১২৫তম সভার সুপারিশ মোতাবেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত ২০ নম্বরের বিভাজন সংক্রান্ত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০০৯ সালের ১ এপ্রিলের জারি করা পত্রে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষার নম্বর বণ্টন কিছুটা সংশোধন করা হয়েছে।
মৌখিক পরীক্ষার নতুন নম্বর বণ্টনে শিক্ষাগত যোগ্যতায় ১০ নম্বর করা হয়েছে। এর মধ্যে এসএসসি/সমমানের ফলে ৪ নম্বর, এইচএসসি/সমমানের ফলে ৪ এবং স্নাতক/সমমানে ২ নম্বর নির্ধারণ করা হয়। এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমানের ক্ষেত্রে প্রথম বিভাগ/জিপিএ-৩ বা তার ওপরে ৪ নম্বর, দ্বিতীয় বিভাগ/জিপিএ-২ থেকে ৩-এর কম হলে ৩ নম্বর, তৃতীয় বিভাগ/জিপিএ-১ থেকে ২-এর কম হলে ১ নম্বর দেওয়া হবে।
এছাড়া, স্নাতক/সমমানের ক্ষেত্রে প্রথম বিভাগ/সমতুল্য সিজিপিএ ৪ স্কেলে ৩ বা তার ওপরে অথবা পাঁচ স্কেলে ৩ দশমিক ৭৫, বা তার ঊর্ধ্বে ২ নম্বর, দ্বিতীয় বিভাগ/সমতুল্য সিজিপিএ-৪ হিসেবে ২ দশমিক ২৫ থেকে ৩-এর কম ও ৫ স্কেলে ২ দশমিক ৮ থেকে ৩ দশমিক ৭৫ -এর কম হলে এক নম্বর দেওয়া হবে। বাকি ১০ নম্বর ব্যক্তিত্ব, প্রকাশ ক্ষমতা, সাধারণ জ্ঞান ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা গত ২২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি ফল প্রকাশও করা হয়েছে। বাকি রয়েছে মৌখিক পরীক্ষা। এছাড়া আগামী ২০ মে দ্বিতীয় ধাপ এবং আগামী ৩ জুন তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।