ভারতের বেঙ্গালুরুতে এক বাংলাদেশি নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৯ বাংলাদেশিকে দোষী সাব্যস্ত করে শুক্রবার তাদের ৫ বছর থেকে যাবজ্জীবন পর্যন্ত কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। গত বছরের ২৭ মে মাসে ২২ বয়সি ওই বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
বেঙ্গালুরুর আদালত শুক্রবার ওই ধর্ষণ মামলার রায়ে চাঁদ মিয়া, মোহাম্মদ রিফাকদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলামিন হোসেন, রকিবুল ইসলাম, মোহাম্মদ বাবু শেখ, মোহাম্মদ ডালিম ও আজিম হোসেনসহ ৭জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
এ ছাড়া, তানিয়া খানকে ২০ বছর এবং মোহাম্মদ জামাল নামে দুজনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আরও দুই নারী আসামিকে ৯ মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ভুক্তভোগীসহ অভিযুক্তরা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক, যারা ভারতে প্রবেশ করে বেঙ্গালুরুতে অবৈধভাবে বসবাস করে আসছিলেন।
মামলায় এক অভিযুক্ত ছিলেন ভারতীয়, তবে তাকে অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
অপরাধ সংঘটিতের ২৮ দিনের মধ্যে চাঞ্চল্যকর এই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল এবং ৩ মাসে বিচার শেষ করা হয়।
বাংলাদেশে প্রথমে ধর্ষণের একটি ভিডিও ভাইরাল হলে ঘটনাটি জানাজানি হয় এবং পরে বেঙ্গালুরুতে এটি সংঘটিত হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়।
এ ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) বিভিন্ন ধারা এবং অনৈতিক পাচার (প্রতিরোধ) আইনের পাশাপাশি ফরেনার্স অ্যাক্টের অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
ধর্ষণের ওই ভিডিও ভাইরাল হলে ভারত ও বাংলাদেশে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং জাতীয় পর্যায়ে আলোচনার জন্ম দেয়।
অপর ২ বাংলাদেশি নারীকে ফরেনার্স অ্যাক্টের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে ৯ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলায় অভিযুক্ত ১২ জনের মধ্যে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।