গরমে মন ও শরীরকে সতেজ এবং সুস্থ রাখতে গোসলের কোনো বিকল্প নেই। সকালে গোসল করাটা উত্তম। গরমে প্রতিদিন দুই-তিনবার গোসল করতে পারেন। সকালে, দুপুরে খাবার আগে আর সারা দিনের কাজের শেষে বা রাতে ঘুমের আগে গোসল করলে শরীর আরাম পাবে। গোসলের কিছু নিয়মকানুন আছে। এই যেমন রাতের খাবার খাওয়ার পর গোসল করা ঠিক না।
গরমের এই সময়টাতে দুপুর হোক বা রাতে বাইরে থেকে ফিরে বা ঘরে থাকলেও গোসল করে তবেই খাবার খাওয়া উচিত। তবে কর্মব্যস্ত জীবনে অনেক সময়ই এমনটা করা হয়ে ওঠে না। অনেকে এমনও আছেন যারা রাতে খাওয়াদাওয়ার পর গোসল করে ঘুমাতে পছন্দ করেন। তাদের ধারণা, এতে ঘুম ভালো হয়। তবে এই অভ্যাসের কারণে কিন্তু শরীরের ক্ষতি হতে পারে।
সাধারণত গোসল করার সময়ে শরীরের উষ্ণতা কয়েক ডিগ্রি বেড়ে যায়। একে বলা হয় ‘হাইপারথারমিক অ্যাকশন’। এই প্রক্রিয়ায় শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। ঘর্মগ্রন্থিগুলো সক্রিয় হয়, যার ফলে শরীরে জমা দূষিত পদার্থ বেরিয়ে আসে। আর স্নায়ুগুলো আরাম পায়।
গোসল করার সময়ে শরীরের উষ্ণতা কয়েক ডিগ্রি বেড়ে যায়। একে বলা হয় ‘হাইপারথারমিক অ্যাকশন’
আর খাওয়ার পরেও শরীরের তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি বেড়ে যায়। হজম প্রক্রিয়া সুষ্ঠ পদ্ধতিতে চালানোর জন্য পেটের আশপাশে অনেকটা রক্ত জমা হয়। শরীরে রক্ত সঞ্চালনের হারও খাওয়ার পর বেড়ে যায়। আর ভারী কোনো খাবার খাওয়ার ঠিক পরেই গোসল করলে শরীর সংশয়ের মধ্যে পড়ে যায়। খাবার হজম করার কাজে বেশি সক্রিয় হবে, নাকি ‘হাইপারথারমিক অ্যাকশন’-এ জোর দেবে—শরীর তা ঠিক বুঝে ওঠতে পারে না।
তাই খাবার ভালো ভাবে হজম হয় না। এর ফলে পেটব্যথা, বদহজম, গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। তার উপর গোসল করার সময় কখনও কখনও হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। পেট ভরে খাওয়ার পর এমনটা মোটেও সুখকর হয় না। এই অভ্যাসের ফলে বিপাকের হার কমে যায়। আর তাতেই তৈরি হয় সমস্যা। বিশেষ করে ফ্যাট বা রিফাইন করা কার্বোহাইড্রেট বা অতিরিক্ত ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়ার পর গোসল করলে, হজম প্রক্রিয়া আরও ধীর হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর ফলে পেটের হজম সম্পর্কিত সমস্যাগুলো বেড়ে যায়।