পশ্চিম জার্মানির বেশ কয়েকটি শহরের মধ্য দিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে শক্তিশালী টর্নেডো। এতে একজন নিহত এবং কমপক্ষে ৪৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।
প্যাডারবোর্ন শহরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টর্নেডোর হানায় বহু বাড়ির ছাদ ধ্বংস হয়েছে এবং ধ্বংসাবশেষ প্রায় কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।
দশ জন গুরুতর জখম এবং একজন নারীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। শুক্রবার এই অঞ্চলে তীব্র ঝড়ের আঘাতে একজন ৩৮ বছর বয়সী লোকও মারা গেছে।
পুলিশ একটি ছবি পোস্ট করে জানিয়েছে, গাছগুলোর বেশিরভাগই উপড়ে পড়েছে বা ভেঙ্গে পড়েছে এবং বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে।
এক লাখ ৫০ হাজার জনসংখ্যা অধ্যুষিত প্যাডারবোর্নের পুলিশ বলছে, “মেটাল শীট, ইনসুলেশন এবং অন্যান্য উপকরণ কিলোমিটার দূরে উড়িয়ে নিয়ে ফেলেছে। অগণিত ছাদ ঢেকে গেছে বা খুব বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক গাছ এখনও ধ্বংস হওয়া গাড়ির ওপর পড়ে আছে।”
স্থানীয় মিডিয়া পুলিশকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ৩৮ বছর বয়সী ওই লোকটি প্যাডারবোর্ন থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে উইটগার্ট শহরে মারা গেছে। তিনি একটি প্লাবিত সোলারে বৈদ্যুতিক শক পেয়েছেন বলেই নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
ফায়ার বিভাগের একজন মুখপাত্র এএফপিকে বলেছেন, প্যাডারবোর্ন থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লিপস্ট্যাডট শহরটিতেও সম্ভবত টর্নেডো আঘাত হেনেছে। যদিও সেখান থেকে কোনো আহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে চিত্রগুলো ছড়িয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে- হেলিংহাউসেনের কাছাকাছি একটি গির্জার টাওয়ারের ছাদ থেকে একটি স্টিপল বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং গির্জার আঙ্গিনায় ধ্বংসস্তূপ ছড়িয়ে পড়েছে।
বিবিসির আবহাওয়া উপস্থাপক ক্রিস ফকস বলেন, জার্মানিতে সাধারণত বছরে বেশ কয়েকটি টর্নেডো আঘাত হানে। তবে বেশিরভাগই স্বল্পস্থায়ী এবং তাতে উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয় না।
ক্রিস ফকস আরও জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউরোপে আঘাত হানা টর্নেডোর সংখ্যা বাড়ছে।
তিনি বলেন, “এর কারণ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনও ভূমিকা পালন করছে কিনা- এটি এখনও বিতর্কের বিষয়।” সূত্র- বিবিসি।