দেশের মুদ্রাবাজারে ডলারের দামে লাগাম ধরে রাখতে তদারকির আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিশ্বজুড়ে রেকর্ড হারে বাড়ছে মার্কিন ডলারের দাম। কিন্তু প্রতিবেশি দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশি মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়েছে সবচেয়ে কম।
বাংলাদেশে টাকার বিপরীত ডলারের দাম বেড়েছে ৩ দশমিক তিন পাঁচ শতাংশ। যেখানে পাকিস্তানের প্রায় ২১ এবং ভারতে ডলারের দর বেড়েছে ৬ ভাগের বেশি।
করোনা মহামারির ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, জ্বালানি তেল ও খাদ্যপণ্যের বাড়তি দাম, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, বৈশ্বিক পুঁজিবাজারে অস্থিরতাসহ নানা সংকটের কবলে বিশ্ব অর্থনীতি। এই সংকটের মধ্যেই বিভিন্ন দেশে লাগামহীনভাবে বাড়ছে মার্কিন ডলারের দাম। যা রপ্তানিকে কিছুটা সুবিধা দিলেও বিশ্বজুড়ে আমদানিকে ব্যয়বহুল করেছে কয়েকগুণ।
বাড়তি আমদানির ব্যয় পরিশোধে বাংলাদেশেও ডলারের ব্যবহার অনেক বেড়েছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়ার পাশাপাশি সরবরাহ ঘাটতিতে টাকার বিপরীতে দেশে বাড়ছে ডলারের দাম। এতে গত সপ্তাহে খোলাবাজারে ডলারের দর ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গেলেও পরে ৯৬ টাকায় নেমে আসে।
বাংলাদেশে ডলারের দাম বাড়লেও অন্যান্য দেশের তুলনায় সেই বৃদ্ধির হার অনেক কম। বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি পাকিস্তানে ২০ দশমিক ৭৪ ভাগ। বর্তমানে দেশটিতে ১ ডলার কিনতে ২০০ রুপির বেশি খরচ করতে হচ্ছে। পাশাপাশি ভারতের রুপির বিপরীতে ৬ দশমিক ১১ শতাংশ। আর ডলারের বিপরীতে ইউরো প্রায় ১৪, ব্রিটিশ পাউন্ড দর হারিয়েছে ১২ দশমিক ২৪ ভাগ।
দেশের মুদ্রাবাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার বা ব্যাংক রেটেই ব্যাংকগুলো ডলার বিক্রি করছে কিনা তাও তদারকি করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের গত সাড়ে ১০ মাসে ব্যাংকগুলোর কাছে ৫৫০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।