অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ১০ বছরের সাজা পাওয়া ঢাকার সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার (২২ মে) বিকালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
এদিন বিকাল ৩টা ৫ মিনিটে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলামের আদালতে উপস্থিত হন। পরে যথারীতি তাকে আদালতের কাঠগড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে তার জামিন আবেদনের উপর শুনানি শুরু হয়। মাত্র ২০ মিনিটের মতো শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ দেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় গত ২৫ এপ্রিল হাজী সেলিমের ১০ বছরের সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এরপর তাকে ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ অনুযায়ী বিচারিক আদালতে আজ সকালে হাজী সেলিমের আইনজীবী শ্রী প্রাণ নাথ আত্মসমপর্ণ করে ‘যে কোনও শর্তে’ জামিনের এ আবেদন করেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘২০১৬ সালে ওপেন হার্ট সার্জারির সময় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন যাবত বাক-শক্তিহীন অবস্থায় রয়েছেন হাজী সেলিম। তিনি দেশ ও বিদেশে চিকিৎসা নিয়েছেন। জেলে থাকলে চিকিৎসার অভাবে ও বাক-শক্তি না থাকায় যেকোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ কারণে যে কোনো শর্তে তার জামিন আবেদন করছি। জামিন পেলে তিনি পলাতক হবেন না। তাই আপিল শর্তে আত্মসমর্পণ পূর্বক তার জামিন আবেদন করছি।’
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করে। সে মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত।
এরপর ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজী সেলিম বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। পরে ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে হাজী সেলিমের সাজা বাতিল করেন।
পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টকে হাজী সেলিমের আপিলের শুনানি করতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। ওই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি শুনানির জন্য উদ্যোগী হয় দুদক।