নরসিংদীর বেলাবতে দুই সন্তানসহ নিহত রাহিমা বেগমের স্বামী গিয়াস উদ্দিন মিয়াই তাদের ৩ জনকে হত্যা করেছেন। রোববার (২২ মে) বিকেলে এই তথ্য নিশ্চিত করেন নরসিংদী পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এনায়েত হোসেন মান্নান। এর আগে, আজ দুপুরে উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের বাবলা গ্রাম থেকে ওই তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হলেন বাবলা গ্রামের গিয়াস উদ্দিন শেখের স্ত্রী রাহিমা বেগম (৩৬), তার ছেলে রাব্বি শেখ (১২) ও মেয়ে রাকিবা আক্তার (৭)। রাহিমা বেগম পেশায় একজন দর্জি ছিলেন। অন্যদিকে তার স্বামী গিয়াস উদ্দিন একজন রং মিস্ত্রীর কন্ট্রাকটর।
স্থানীয়রা জানান, রোববার সকালে বিলবিস বেগম নামে এক নারী বানাতে দেওয়া কাপড় আনতে যান বিলকিস বেগমের বাড়িতে। সেখানে গিয়ে তিনি দরজার নিচ দিয়ে রক্ত দেখতে পান। পরে তিনি চিৎকার করলে স্থানীয়রা এসে ঘরে ঢুকে রাহিমা বেগমের মরদেহ দেখতে পায়। এ ছাড়া পাশের ঘরে পাওয়া যায় তার দুই সন্তান রাব্বি শেখ ও রাকিবা আক্তারের মরদেহ। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে দুপুরের দিকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
মরদেহ উদ্ধারের সময় নিহতের স্বামী গিয়াস উদ্দিন দাবি করেন, তিনি খবর পেয়ে গাজীপুর থেকে এসেছেন। রাতে বাড়িতে ছিলেন না তিনি। পাশের বাড়ির একজনের সাথে তাদের বিরোধ ছিল এবং তারাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
পিবিআই এর পুলিশ সুপার এনায়েত হোসেন মান্নান বলেন, নিহতের স্বামী ও দুই সন্তানের বাবা গিয়াস উদ্দিন নিজেই তাদের হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। গিয়াস উদ্দিন দাবি করছিলেন, তিনি খবর পেয়ে গাজীপুর থেকে এসেছেন। কিন্তু তার ফোন ট্র্যাক করে আমরা জানতে পারি তিনি গাজীপুর নয়, এই অঞ্চলেই ছিলেন।
পরে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেন। ক্রিকেট খেলার ব্যাট এবং চাকু দিয়ে তাদের আঘাত করেছিলেন বলে জানিয়েছেন। তবে ঠিক কী কারণে তিনি এমনটি করেছেন সে তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।