ইউক্রেনে যুদ্ধ বাঁধানোর জেরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা রাশিয়া অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশকে।
এ প্রস্তাবটি বাংলাদেশ পর্যালোচনা করছে। এ তথ্য জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সোমবার বিদ্যুৎ ভবনে একটি কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাশিয়ার পক্ষ থেকে তেল বিক্রির প্রস্তাব এসেছে। বিশেষ করে ক্রুড অয়েল বিক্রির কথা বলছে তারা। রাশিয়ার কাছ থেকে এখন তেল কেনার দরকার আছে কি না, সেটি আমরা বিবেচনা করে দেখছি।
যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের পরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ রাশিয়া আগে প্রতিদিন প্রায় ৫ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করত, যার অর্ধেকের বেশি যেত ইউরোপে।
২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে যুদ্ধ বাঁধিয়েছে রাশিয়া। পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপীয় দেশগুলো একের পর এক অবরোধ আরোপ শুরু করেছে রাশিয়ার ওপর। যুক্তরাষ্ট্রও রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
অন্য ক্রেতারা রুশ তেল কেনা থেকে পিছু হটলেও বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ তেল আমদানিকারক ও ভোক্তা দেশ ভারত ব্যাপক মূল্য ছাড়ে তাৎক্ষণিক টেন্ডারের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে বাড়তি তেল কেনা শুরু করে। চীনও আবার রাশিয়া থেকে তেল কেনা বাড়িয়েছে।
বাংলাদেশকে রাশিয়া যে প্রস্তাব দিয়েছে তাতে কত দরে কী পরিমাণ তেল দেশটি দিতে পারবে, মূল্য পরিশোধইবা কীভাবে হবে, সেসব বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।
যুদ্ধ শুরুর পর পর বিশ্ববাজারে অপরিশোধিতি জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলে ১৩০ ডলার ছাড়িয়ে গেলেও এখন তা কিছুটা কমে এসেছে। দেশের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভারতে শুল্ক ছাড় দিয়ে জ্বালানির দাম কমানো হয়েছে।
সূত্র: মানবজমিন