ইভিএম নিয়ে অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার মধ্যে এখনও আস্থাভাজন হতে পারেননি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। সেই সঙ্গে কোনোভাবে প্রহসনের নির্বাচন করার ইচ্ছে নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সিইসি। তিনি বলেন, “আমরা পাঁচটা মিটিং করেছি, পুরোপুরি আস্থাভাজন হতে পারিনি। আরও মিটিং হবে। সেখানে পর্যালোচনা করবো। আমরা বলেছি- ইভিএম নিয়ে সবার আস্থা অর্জন করতে চাই। কালকেও কারিগরি মিটিং হবে।’’
ইভিএমের ত্রুটি শনাক্ত করতে পারলে কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণার মতো কোনো ‘উদ্ভট’ কথাও বলেননি বলে দাবি করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, “নির্বাচনকে প্রহসনে রূপান্তর করার কোনো ইচ্ছে আমাদের নেই। এটা আমরা অন্তর থেকে বলছি। সুন্দর নির্বাচন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে সুস্থ ধারা অব্যাহত থাকুক।”
এসময় চার নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান মাদারীপুরে গিয়ে বলেছেন, ‘ইভিএমে ত্রুটি ধরতে পারলে ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছেন সিইসি’। এ বিষয়টি নিয়ে দল ও নানা মহলে সমালোচনার মধ্যে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, “বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছে- সিইসি ১০ মিলিয়ন ডলার ঘোষণা করেছেন-এটা উদ্ভট কথা। সিইসি এ ধরনের উদ্ভট কথা বলতেই পারেন না।’’
তবে কিছুদিন আগে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় ইভিএম সংশ্লিষ্টদের কেউ না কেউ এ ধরনের কথা বলে থাকতে পারেন বলে মনে করেন সিইসি।
নির্বাচন কমিশনার আনিছুরের পক্ষে অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, “এ ধরনের বক্তব্য শোনার পর ইন্টারনাল তদন্ত শুরু করলাম। কেউ তার ভালোবাসা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে পারেন, ইভিএম যারা তৈরি করছেন তাদের মধ্যে কেউ বলেছেন। ওই ভাবে কেউ একজন বলেছেন, ওখান থেকে জিনিসটা এসেছে”।
কিছুটা স্মৃতিভ্রম হয়ে নির্বাচন কমিশনার ১০ মিলিয়ন ডলারের কথা বলতে পারেন বলে মন্তব্য সিইসি। তিনি বলেন, “এটা কমিশনের বক্তব্য নয়। কোনোভাবে কমিশনের কোনো কর্মচারিও একথা বলেননি, কমিশনার তো দূরের কথা, বলতে পারেন না। মিডিয়ার সময় কথা বলতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলি। কমিশনকে অপদস্ত করার জন্যে, সিইসিকে অপদস্ত করার জান্যে বলেননি। কথাটা আসলে কিছুটা স্মৃতিভ্রমভাবে হয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি।’’
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন