কিডনি শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনির সমস্যা হলে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের হতে পারে না। আর তার প্রভাব পড়ে শরীরের অন্য অঙ্গে। আর এ কারণেই কিডনির সমস্যায় প্রাণহানিও হতে পারে।
এত গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও অনেক সময়েই কিডনির সমস্যা তাৎক্ষণিক টের পাওয়া যায় না। অনেকের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বুঝতে দেরি হয়ে যায়। তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের কাছে গেলে বিপদ এড়ানো অনেক সহজ হয়ে যেতে পারে।
কিন্তু কিডনির সমস্যা বোঝার উপায় আছে। কোনও স্বাস্থ্যপরীক্ষা ছাড়াই টের পাওয়া সম্ভব কিডনির অবস্থা। এর উপায় হল প্রস্রাবের ধরন দেখা। প্রস্রাবের রং এবং বৈশিষ্ট্য দেখে বোঝা যেতে পারে কিডনি ঠিক আছে কি না। যদি কোনও অস্বাভাবিকতা থাকে, তাহলে গাফিলতি না করে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
প্রস্রাবের কোন কোন বৈশিষ্ট্য দেখলে সাবধান হবেন? দেখে নেওয়া যাক, কীভাবে কিডনি জানান দেয় তার স্বাস্থ্যের অবস্থা?
১. বারবার প্রস্রাব হচ্ছে? দিনের মাথায় ৪-৫ বার প্রস্রাব হলে অসুবিধা নেই। বেশি পানি পান করলে ৭-৮ বারও হতে পারে। কিন্তু ঘণ্টায় ঘণ্টায় প্রস্রাব হলে বুঝতে হবে, কিডনির সমস্যা হচ্ছে।
২. প্রস্রাব করার পরও মনে হচ্ছে ভিতরে কিছুটা জমে আছে? এটিও কিডনির সমস্যার পূর্বাভাস।
৩. রাতে বারবার ঘুম প্রস্রাবের জন্য ঘুম ভেঙে যাচ্ছে? একবার বা দুইবার পর্যন্ত তাও ঠিক আছে। কিন্তু ৪-৫ বার হয়ে গেলে বুঝতে হবে, কিডনির সমস্যা হচ্ছে।
৪. প্রস্রাবের সঙ্গে পুঁজ বের হলে, তা মারাত্মক সমস্যার ইঙ্গিত। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৫. প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত বের হওয়াটাও একই রকম বিপজ্জনক।
৬. অনেকেরই প্রস্রাবে ফেনা হয়। এটিও উপেক্ষা করবেন না। এটি কিডনির বড় সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৭. অনেকেরই প্রস্রাবের সঙ্গে দানা দানা পাথরের গুঁড়ো বের হয়। এটিও ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক একটি জিনিস। কিডনিতে পাথর জমলে এমন হতে পারে। চিকিৎসককে জানান এই সমস্যার কথা।
৮. প্রস্রাব করার সময়ে তলপেটে, কোমরের পিছন দিকে ও পাঁজরে ব্যথা হচ্ছে? এটিও কিডনির সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। চিকিৎসকের সঙ্গে দ্রুত কথা বলুন।