স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বিশ্বে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও বাংলাদেশ সরকার তা নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে দেশে খাদ্যপণ্য ব্যাপকহারে উৎপাদনের জন্য নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৫ মে) মিরপুর ক্যান্টনমেন্টে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল-বিইউপি আয়োজিত একটি সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, করোনার মহাসংকট শেষ হতে না হতেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পুরো বিশ্বে নতুনভাবে সংকট সৃষ্টি করেছে। আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বৃদ্ধি এবং দেশীয় খাদ্যপণ্য উৎপাদনে সরকার আগে থেকেই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার ফলেই এই সংকট মোকাবিলা করতে সক্ষম হচ্ছে।
তিনি বলেন, গৃহস্থালি ও শিল্প বর্জ্যের পাশাপাশি নির্মাণ বর্জ্যও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনতে সরকার কাজ করছে। ইতোমধ্যেই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনসহ গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব সিটি করপোরেশন এবং শহরাঞ্চলে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে।
এছাড়া পৌরসভাগুলোতে ছোট প্ল্যান্টের মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ চলমান রয়েছে। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের বর্জ্য যেমন একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মধ্যে আসবে একইভাবে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোগের পরিমাণ বেড়ে গেছে। যার ফলে অতীতের তুলনায় বর্তমানে প্রচুর পরিমাণ বর্জ্য উৎপাদন হচ্ছে। আগে যে কোনো পণ্য কেনার সময় একটি ব্যাগের মধ্যেই সবকিছু নেওয়া হতো। কিন্তু এখন প্রত্যেকটি জিনিসের জন্য আলাদা আলাদা ব্যাগ দেওয়া হয় যার কারণে গৃহস্থালিসহ অন্যান্য বর্জ্য উৎপাদন বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের মূল কারণ পরিবেশ দূষণ। আর এই পরিবেশ দূষণে উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রভাব অনেক কম। এসব দেশের তুলনায় উন্নত দেশগুলো পরিবেশ দূষণের জন্য বেশি দায়ী। পৃথিবীকে বাঁচাতে হলে পরিবেশ দূষণ বন্ধ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে স্বাধীন করার পর অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তি রচনা করে গেছেন। পরবর্তীতে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা টালমাটাল থাকলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশ বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে।
পরে, ইনভায়রনমেন্টাল ফেস্ট-২০২২ এ দেশের ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের আয়োজনে বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিইউপির উপাচার্য মেজর জেনারেল মো. মাহবুব উল আলম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. এস এম যোবায়দুল করিম।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট