নগরে ছিন্নমূল মানুষদের সুবিধা নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ছিন্নমূল ও ভবঘুরেদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু সেটা র্যাব দখল করে আছে। আমরা অনুরোধ করেছি, সেটা ছেড়ে দিতে। কিন্তু এখনো তারা দখল ছাড়েনি।
তিনি বলেন, এ ছাড়াও ভবঘুরে এবং ছিন্নমূলদের পুনর্বাসনের জন্য আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।
বুধবার (২৫ মে) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার জনপথ মোড়ে একটি গণশৌচাগার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
মেয়র তাপস বলেন, ঢাকাবাসীর দীর্ঘদিনের একটি আকাঙ্ক্ষা ছিল বিশেষ করে যেসকল জায়গায় গণপরিসর ও মানুষের আনাগোনা বেশি; সে সকল স্থানে যেন পর্যাপ্ত গণশৌচাগার নির্মাণ করা হয়। সেই কার্যক্রম আরম্ভ করেছি। আমাদের লক্ষ্য, ৭৫টি ওয়ার্ডে প্রথম পর্যায়ে ন্যূনতম যেন একটি করে গণশৌচাগার নির্মাণ করা যায়। পরবর্তীতে আমরা জরিপ করে আরো চাহিদা অনুযায়ী সেটাকে বৃদ্ধি করব। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা এই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছি।
অর্থ অপচয় না করেই ঢাকাবাসীর মৌলিক সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে চলেছেন উল্লেখ করে তাপস বলেন, আপনারা দেখেছেন, ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে একটি আধুনিক গণশৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে পুরুষ ও মহিলা আলাদা আলাদাভাবেই গণশৌচাগার ব্যবহার করতে পারবে। এটি নিয়ম-শৃঙ্খলা অনুযায়ী পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।
তিনি বলেন, আমাদের চলমান একটি প্রকল্প থেকে অর্থ সাশ্রয় করে এই কাজটি করেছি। সুতরাং অর্থের অপচয় রোধ করেই যেন সঠিকভাবে জনগণের কল্যাণ হয়- সে দিকটায় নজর দিয়েছি। পাশাপাশি আমরা ঢাকাবাসীর মৌলিক সেবা দেওয়া নির্বিঘ্ন রাখতেও সজাগ রয়েছি।
এর আগে, ঢাদসিক মেয়র নগরীর মতিঝিল এলাকায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তরকেন্দ্র ও পরে নগরীর ৭২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৫৫ জন নারীর প্রত্যেকের মাঝে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান বিতরণ করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান প্রমুখ।