টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতিসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট একটি ক্লিনিকের ডাক্তার, নার্সসহ ক্লিনিক কতৃপক্ষ সবাই পালিয়ে গেছে। বুধবার (২৫ মে) রাতে ভুঞাপুর বাজারের মা ক্লিনিক এন্ড হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদন নেই বলে জানা গেছে।
ওই প্রসূতির নাম লাইলী বেগম (৩০)। লাইলী উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ি গ্রামের আতোয়ার হোসেনের স্ত্রী।
জানা গেছে, লাইলীর প্রসব যন্ত্রণা হলে স্বজনরা ভুঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক রোগীকে টাঙ্গাইল রেফার্ড করেন। সেখানে থাকা ক্লিনিকের দালাল শামছুর খপ্পরে পরে মা ক্লিনিক এন্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় লাইলীকে। পরে ওই ক্লিনিকে সার্জারি চিকিৎসক ও ভুঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা এনামুল হক সোহেল ও অ্যানেস্থেশিয়া চিকিৎসক ডা. আল মামুন অস্ত্রোপ্রচার শুরু করেন। পরে এক পর্যায়ে লাইলী অপারেশন টেবিলেই মারা যায়। পরে স্বজনদের না জানিয়ে লাশ অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে টাঙ্গাইলে পাঠিয়ে দেয়ার সময় স্বজন ও স্থানীয়রা বাধা দেয়।
লাইলীর স্বজনরা জানান, প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে লাইলীকে সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে দালালের খপ্পরে পরে ক্লিনিকে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা দুই ঘণ্টা ধরে অপারেশন থিয়েটারে রাখে। পরে লাইলী মারা গেলে তাকে ক্লিনিকের সামনে রেখে চিকিৎসক, নার্স ও মালিকরা পালিয়ে যায়।
ভুঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. আল মামুন বলেন, মা ক্লিনিকে আনার পর লাইলীর রক্তচাপ দেখা দেয়। অপারেশনের আগেই রোগী বমি করে। এর পরপরই রোগী মারা যায়।
ভুঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ক্লিনিকে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে ক্লিনিকের চিকিৎসক, নার্স ও মালিকরা পালিয়ে গেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সূত্রঃবি-ডি প্রতিদিন