দেশের সব অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ সময়ের পর নিবন্ধনহীন কোনো ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকের এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. বেলাল হোসেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবিরের নেতৃত্বে এ নিয়ে একটি সভা হয়। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের সব অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করতে হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্ত সব সিভিল সার্জনকে জানিয়ে দেওয়া হয়। প্রয়োজনে অভিযান পরিচালনা করার কথাও বলা হয়েছে।
বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সুপারভিশন ও মনিটরিং কার্যক্রম নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় মোট চারটি সিদ্ধান্ত হয়। এগুলো হলো-
১. আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসমূহ বন্ধ করতে হবে। অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সমূহের বিরুদ্ধে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।
২. যেসব প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন গ্রহণ করেছেন কিন্তু নবায়ন করেননি তাদের নিবন্ধন নবায়নের জন্য একটি সময়সীমা দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নবায়ন গ্রহণ না করলে সেসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
৩. বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহে অপারেশন করার সময় এনেস্থিসিয়া দেওয়া ও ওটি এসিস্ট করার ক্ষেত্রে নিবন্ধিত ডাক্তার ছাড়া অন্যদের রাখা হলে সে সকল প্রতিষ্ঠান ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. যেসব প্রতিষ্ঠান নতুন নিবন্ধনের আবেদন করেছেন তাদের লাইসেন্স দেওয়ার কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে হবে। লাইসেন্স প্রাপ্তির আগে এ সকল প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালাতে পারবে না।
সূত্র: আমাদের সময়.কম