কলকাতার মডেল-অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের মৃত্যুরহস্য নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আপাতত ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিশ। যদিও বিদিশার বান্ধবীদের দাবি—প্রেমের বিচ্ছেদ ও অবসাদ থেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বিদিশা।
এসব তথ্য নিয়ে যখন জোর আলোচনা চলছে, ঠিক তখন বিদিশার এক আত্মীয় অন্য ইঙ্গিত দিলেন। বিদিশার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে ছুটে গিয়েছিলেন তার বাসায়। সেখানে যা দেখেছেন তারই বর্ণনা দিয়েছেন ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিদিশার ওই আত্মীয় বলেন—‘প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ফ্ল্যাটের দরজায় যাই। ভেজানো দরজা খুলতেই দেখি, ওড়নায় ফাঁস লাগিয়ে বিদিশা ঝুলছেন। শরীরে বিকৃতি দেখা দিয়েছে। নাক থেকে তরল পদার্থ বেরিয়ে এসে জমাট বেঁধে ঝুলছে। ঘরে এসি নেই। অথচ তরল জমাট বেঁধে গিয়েছে। আমার ধারণা, বিদিশার মৃত্যু হয়েছে বুধবার ভোরে।’
আত্মহত্যা নয়, খুনের ইঙ্গিত দিয়ে বিদিশার আত্মীয় বলেন, ‘সাধারণত গলায় ফাঁস দিলে জিভ এবং চোখ বেরিয়ে আসে। এ ক্ষেত্রে বিদিশার চোখ বন্ধই ছিল। পাশাপাশি মুখে কাপড় গোঁজা থাকায় চিৎকার শোনা যায়নি। জিভও হয়তো বেরিয়ে আসতে পারেনি। অনেক সময় পরনের পোশাকও নষ্ট হয়ে যায় প্রস্রাবে। গাঢ় রঙের ট্রাউজার পরে থাকায় তাও বোঝা সম্ভব হয়নি।’
মেয়ের মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছেন বিদিশার মা। ঘন ঘন মূর্ছা যাচ্ছেন। মেয়েকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ তার বাবা। প্রত্যেকের একটাই প্রশ্ন, কেন এভাবে চলে গেলেন বিদিশা?