গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা ও রমনা বটমূলে বোমা হামলার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জঙ্গিনেতা মুফতি আবদুল হাইকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন রাজধানীর কাওরান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। র্যাবের মুখপাত্র বলেন, জঙ্গি সংগঠন হুজির প্রতিষ্ঠাতা আমির আবদুল হাইকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আবদুল হাই একাধিক মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
র্যাবের মিডিয়া শাখার পরিচালক বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জনসভা চলাকালীন গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। মুফতি আব্দুল হাই সেই গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সেই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে জঙ্গিরা গ্রেনেড হামলা চালিয়ে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচ জনকে হত্যা করে। সেই মামলায় চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামি ছিল আব্দুল হাই। তার বিরুদ্ধে সাতটি গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় শক্তিশালী একটি বোমা পাওয়া যায়। সেনাবাহিনীর একটি দল ৭৬ কেজি ওজনের বোমাটি উদ্ধার করে। পরদিন ৪০ কেজি ওজনের আরেকটি বোমা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানার পুলিশ হত্যাচেষ্টা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করে।
২০১০ সালে গোপালগঞ্জ আদালত থেকে মামলা দুটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট দুই মামলার একটিতে ১০ আসামিকে ফায়ারিং স্কোয়াডে (গুলি করে) মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন বিচারিক আদালত। এছাড়া একজনকে যাবজ্জীবন ও তিনজনকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা তিনটি আপিল ও সাতটি জেল আপিল করেন।
সূত্র: যমুনা টিভি