এমনিতেই দশ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার ভারে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ। এরই মধ্যে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে হঠাৎ আসা রোহিঙ্গার ঢলে এই চাপ বাড়ছে আরও। বেশিরভাগই দালালচক্রের হাত ধরে আসছে জম্মু-কাশ্মির থেকে। তাদের রাখা হচ্ছে কক্সবাজারের উখিয়ায় ট্রানজিট ক্যাম্পে। তবে নতুন করে কেউ আসলে পুশব্যাকের নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
পরিবারের ৯ সদস্যকে নিয়ে সম্প্রতি অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন লায়লা বেগম নামের এক রোহিঙ্গা নারী। আশ্রয় হয়েছে কক্সবাজারের উখিয়ার ট্রানজিট ক্যাম্প ও কোয়ান্টাম সেন্টারে। মিয়ানমারের মংডু থেকে ৯ বছর আগে ভারতে গিয়ে এতোদিন জম্মু-কাশ্মিরে বসবাস করছিলেন তিনি। একইভাবে সিলেটের মৌলভীবাজার ও কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে সহস্রাধিক রোহিঙ্গা দেশে প্রবেশ করেছে। তাদেরকে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসতে সহযোগিতা করে দালাল চক্র।
নতুন করে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বেশিরভাগের আশ্রয় হয়েছে উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্প এবং কোয়ান্টাম সেন্টারে। যার তত্ত্বাবধান করেন ইউএনএইচসিআর। এ নিয়ে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক নাঈমুল হক বলেন, তারা তাদের আত্মীয়দের কাছ থেকে শুনেছে, বাংলাদেশে তারা ভালো আছে, আইন শৃঙ্খলা ভালো। তাই ওই দেশের দালালের সহায়তায় তারা বাংলাদেশে চলে আসছে। আবার আমাদের দেশের এক শ্রেণির দালাল দ্বারা তারা উখিয়া ক্যাম্প পর্যন্ত চলে আসছে।
এরই মধ্যে লাখ লাখ রোহিঙ্গার চাপ নিতে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ। তার ওপর নতুন করে প্রতিবেশী দেশ থেকে রোহিঙ্গা আসার ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। তাদেরকে প্রয়োজনে পুশব্যাক করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, আমাদের বিজিবিকে নির্দেশনা দেয়া আছে। যারাই (রোহিঙ্গা) এখন বাংলাদেশে আসবে তাদের পুশব্যাক করে দেয়া হবে।
সবশেষ গত শনিবার সন্ধ্যায় ভারত থেকে আসা দুই পরিবারের ৭ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে এপিবিএন।