বজ্রপাত, বৃষ্টি আর ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসা ঝড়ে লন্ডভন্ড অবস্থা দিল্লির। সোমবার সন্ধ্যায় এমন ঝড় আঘাত হানে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি। ঝড়ের আঘাতে বড় বড় গাছপালা উপড়ে যায় এবং যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনায় দুজনের মৃত্যুও হয়েছে বলে জানায় এনডিটিভি।
মধ্য দিল্লির জামে মসজিদ এলাকায় ৫০ বছর বয়সী এক লোক মারা যায়। ঝড়ের সময় তিনি বাড়ির বাইরে ছিলেন। প্রবল বাতাসে পার্শ্ববর্তী বাড়ির বারান্দার একটি অংশ ভেঙ্গে তার ওপর পড়ায় তিনি মারা যান।
উত্তর দিল্লির আঙ্গুরি বাগ এলাকায় বসির বাবা নামে পরিচিত ৬৫ বছর বয়সী আরেক গৃহহীন ব্যক্তির ওপর পিপল গাছ পড়ায় নিহত হন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ২০১৮ সালের পর এটি ছিল দিল্লিতে সবচেয়ে তীব্র ঝড়।
দিল্লির ফিরোজশাহ রোড, তলস্তয় মার্গ, কোপার্নিকাস রোড, কেজি মার্গ এবং পণ্ডিত রবিশঙ্কর শুক্লা লেনের কাছাকাছি এলাকায় ভারী বর্ষণের কারণে যানবাহন আটকা পড়েছিল।
দিল্লির পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এ অঞ্চলে প্রায় ৩০০টি গাছ ওপড়ে গেছে বলে মেয়রের বরাতে খবর পাওয়া গেছে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) বলছে ঝড়টি উত্তর-পশ্চিম রাজস্থান এবং তৎসংলগ্ন পাকিস্তানের ওপর দিয়ে বয়ে এসছে।
এছাড়াও ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। পালাম আবহাওয়া কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭০ কিমি।
সিনিয়র আইএমডি বিজ্ঞানী আর কে জেনামানি জানান, দিল্লিতে বজ্রপাত একটি স্বাভাবিক ঘটনা। শহরটিতে মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে গড়ে ১২ থেকে ১৪ দিনে এমন আবহাওয়া দেখা যায়।