বাংলাদেশের ক্রিকেটের হাল ধরবেন কে? টেস্ট ফরম্যাটে ঘোর অন্ধকারে থাকা দলটাকে আর টেনে নিতে পারছেন না মুমিনুল হক। একের পর এক ব্যর্থতায় মুমিনুল হাঁপিয়ে উঠেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় ভরাডুবির পর ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও অনেকটা একই দশা। একটা টেস্ট ড্র করতে পারলেও আরেকটায় হারতে হয়েছে।
মুমিনুল হকের অধিনায়কত্বের সঙ্গে নিজের পারফরম্যান্সের গ্রাফটাও দিন দিন নিচের দিকে নামছে। অনেকটা অনুমেয়, নেতৃত্বের চাপে ভেঙে পড়েছেন দেশের সেরা টেস্ট ব্যাটার খ্যাতি পেয়ে যাওয়া মুমিনুল।
শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রধান নাজমুল হাসান পাপন আভাস দেন, পরিবর্তন আসছে। জানান, খুব দ্রুতই মুমিনুলের সঙ্গে বসবেন সিদ্ধান্ত জানতে।
২০১৯ সালে ফিক্সিং বিতর্কে জড়িয়ে নেতৃত্ব হারান সাকিব আল হাসান। দেশ সেরা এই অল-রাউন্ডার নিষিদ্ধ হন এক বছরের জন্য। ওই সময়ে হুট করেই নেতৃত্বের ভার চাপিয়ে দেওয়া হয় মুমিনুলের কাঁধে।
এরপর মুমিনুলের নেতৃত্বে ১৬টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। যেখানে মাত্র তিনটি ম্যাচে জয় পায় টাইগাররা। বিপরীতে দুটি ড্র আর ১২টি হার দেখে বাংলাদেশ।
এমন অবস্থায় বিসিবি মুমিনুলের বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হয়েছে বলা চলে। তবে যাকে নিয়ে আলোচনা সে সাকিবই বলছেন, এই মুহূর্তে মুমিনুলের থেকে ভালো অপশন নেই।
একদিকে দলের বাজে পারফরম্যান্স, সঙ্গে মুমিনুলের ব্যাটে রান খরা। পরিসংখ্যান বলছে, অধিনায়ক হওয়ার আগে মুমিনুলের ব্যাটিং গড় ছিল ৬৭ ইনিংসে ৪১.৪৮। অধিনায়ক হওয়ার পর সেটি ৩১ ইনিংসে ২৯.৪২ গড়ে গিয়ে ঠেকেছে। তার ৫৩ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে মোট রান ৩ হাজার ৫২৫। অধিনায়ক হওয়ার পর রান করেছেন ৯১২। মোট ১১টি সেঞ্চুরিতে অধিনায়ক হওয়ার পর পেয়েছেন মাত্র ৩টি। এই সময়ে ডাক মেরেছেন ছয়বার। শেষ ৭ ইনিংসে দুই অঙ্কের রানের ঘরই পার হতে পারেননি। এই সময়ে তার ব্যাটে আসে সর্বোচ্চ ৯ রান।
অনেকটা হুট করে পাওয়া নেতৃত্ব ছাড়বেন, নাকি থেকে যাবেন এই সিদ্ধান্তটা মুমিনুলকেই নিতে হবে। বলা হচ্ছে, আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই সাকিবের নেতৃত্বে টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। যদিও বিসিবির ঘোষিত টেস্ট দলের নেতা এখনও মুমিনুল।
এদিকে গুঞ্জন আছে, সাকিবের সম্মতি রয়েছে টেস্ট দলের নেতৃত্বে ফিরতে। এখন শুধু দুইয়ে দুইয়ে চার মেলার অপেক্ষা। মুমিনুল যদি বলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে নেতৃত্ব দেবেন তবে সেটা হবে তার জন্য এসিড টেস্ট। নেতা সাকিবের অধীনে বাংলাদেশ ১৪টি টেস্ট খেলে ৩টি জয় পেয়েছিল, হেরেছিল ১১টি ম্যাচে।