প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখা যাবে না। এক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি যেকোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি হোক নিয়মের বাইরে গেলে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখলে তার লাইন কাটা হবে। তবে রেয়াতি থাকলে সেটা ভিন্ন কথা।’
বুধবার (১ জুন) রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনএসসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় এ নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
সভায় ঢাকা আসুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেস সংশোধিত প্রকল্পসহ মোট নয়টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এসব প্রকল্পে ২৬৬৫ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে বিদেশি ঋণ ধরা হয়েছে ৮০৭ কোটি টাকা। বাকি অর্থ সরকারি কোষাগার থেকে ব্যয় করা হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু চাপ মোকাবেলা করে তৈরি করা হয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। কারণ প্রধানমন্ত্রীকে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করতে গিয়ে দেশের বাইরে-ভেতরে প্রতিকূল অবস্থা মোকাবেলা করতে হয়েছে। কাজ শেষ হয়েছে। এতে আবেগ আপ্লুত হয়ে প্রধানমন্ত্রী সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।’
রাজশাহী ও রংপুরে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন প্রকল্প প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিল বাকি থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। আইন না মানলে তার লাইন কেটে দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, দেশে চব্বিশটি স্থলবন্দর রয়েছে। প্রতিটি স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন আধুনিকায়ন করা হবে।’
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ‘উন্নয়ন কাজ করতে গিয়ে পরিবেশের সুরক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ খাল-বিল-নদী বিবেচনা করে করতে হবে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড.শামসুল আলম, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবতীসহ বিভিন্ন সচিব।