‘রাখে আল্লাহ মারে কে’। যে কথার সাক্ষী হলেন টটেনহাম ব্রাজিলের ফুটবল তারকা এমারসন রয়াল।
২৯টি গুলি ছোড়া হয়েছে তাকে কেন্দ্র করে। কিন্তু দিব্যি ভালো আছেন তিনি। কারণ সৌভাগ্যক্রমে একটি গুলিও লাগেনি তার দেহে।
ঘটনাট ঘটে তার দেশ ব্রাজিলেই। টটেনহাম হটস্পারের এই তারকা ছুটি কাটাতে ব্রাজিলে ফিরে যান।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরে সাও পাওলোয় নৈশ ক্লাব থেকে রাত তিনটায় বের হন এমারসন। তাকে চিনতে পেরে এক পুলিশ কর্মকর্তা অটোগ্রাফ নিতে যান। অটোগ্রাফ নিয়ে প্রিয় খেলোয়াড়কে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিচ্ছিলেন সেই পুলিশ কর্মকর্তা। ডিউটিতে না থাকায় সেই পুলিশ ইউনিফর্ম পরা ছিলেন না।
এ সময় অস্ত্র হাতে এক ছিনতাইকারী এগিয়ে আসে। অস্ত্র দেখিয়ে এমারসনের পথ রোধ করে টাকাপয়সা দাবি করে সে। এ সময় সেই পুলিশ কর্মকর্তা নিজের অস্ত্র বের করে গুলি করেন। পালিয়ে যাবার সময় পেছনে গুলিবিদ্ধ হয়ে এখন হাসপাতালে সেই ছিনতাইকারী।
ব্রাজিল মিলিটারি পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় মোট ‘২৯টি গুলি’ ছোড়া হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে অনেকটাই বাকরূদ্ধ এমারসন। ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো এস্পোর্তে’-তে এমারসন এ নিয়ে শুধু বলেছেন, ‘খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এখন আমি একটু বিশ্রাম নেব এবং পরে এ ব্যাপারে ভাবব।’
সুস্থ আছেন জানাতে নিজের ইনস্টাগ্রামে এমারসন লিখেছেন, শিগগিরই এ বিষয়ে ভক্তদের সব বলব। সেই পুলিশ কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
তবে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন এমারসনের বাবা এমারসন দি সৌজা।
গ্লোবো এস্পোর্তেকে তিনি বলেন, ‘আমরা হইহুল্লোড় করে বের হওয়ার পথে ঘটনাটা ঘটে। একদম ভয়ংকর সিনেমার মতো ঘটনাটা। আর কারও বেলায় যেন এমন অভিজ্ঞতা না হয়। পুলিশ কর্মকর্তা এমারসনকে গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার সময় বুঝতে পারেন অস্ত্র হাতে লোকটি ছিনতাইকারী। তিনি সে গুলি চালান। সবকিছু খুব দ্রুত ঘটেছে। সম্ভবত ২০টির বেশি গুলির শব্দ শুনি । ওরা (ছিনতাইকারীর দল) পাঁচ-ছয়জন ছিল। এপাশ-ওপাশ দিয়ে দৌড়ে পালিয়েছে। গুলিটা কোত্থেকে হচ্ছিল বুঝতে পারেনি।’
সূত্রঃ যুগান্তর