র্যাংকিং এবং শক্তির বিচারে প্রতিপক্ষ তিন দলই বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে। বাহরাইন, তুর্কমেনিস্তান এবং মালয়েশিয়ার সঙ্গে জেতার প্রত্যাশা করাটাই বাড়াবাড়ি। কোনো একটি ম্যাচ থেকে পয়েন্ট পেলে সেটা হবে বড় অর্জন। সে অর্জনটাই করতে চাচ্ছেন ফুটবলাররা। এই আত্মবিশ্বাসটা জামাল ভূঁইয়ারা খুঁজে পেয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ফুটবল ম্যাচে জয়ের সমান ড্রয়ের পরই। এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব খেলতে বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করা হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার দল শুক্রবার বিশ্রামে ছিল। ৮ জুন কুয়ালালামপুরে গ্রুপ ‘ই’তে বাহরাইনের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে লাল-সবুজের দলটি। ১১ জুন তুর্কমেনিস্তান এবং ১৪ জুন স্বাগতিক মালয়েশিয়ার সঙ্গে শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপের মিশনে যাওয়ার আগে কোচ ক্যাবরেরার জন্য মাথাব্যথা হয়ে ওঠে দলের মধ্যে চোটের হানা। বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় চোটে ছিটকে যাওয়ায় অনেকটা নতুন খেলোয়াড়দের নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে দল সাজান স্প্যানিশ এ কোচ। র্যাংকিংয়ে ২৯ ধাপ এগিয়ে থাকা দলটির বিপক্ষে সমানতালে খেলে বাংলাদেশ। বিশেষ করে গোলপোস্টের নিচে আনিসুর রহমান জিকো ছিলেন দুর্দান্ত। অসাধারণ কয়েকটি সেভ করে বসুন্ধরা কিংসের এ ফুটবলার আলাদা নজর কেড়েছেন। সেই ম্যাচ থেকে প্রেরণা নিয়ে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভালো করার প্রত্যয় জিকোর। তিন ম্যাচ থেকে পয়েন্ট নেওয়ার লক্ষ্য বাংলাদেশ গোলরক্ষকের।
শুক্রবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের দেওয়া ভিডিও বার্তায় জিকো বলেছেন, ‘আমাদের সামনে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্ব আছে। সবাই এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে খেলেছি। সেই ম্যাচের ভালো-খারাপ নিয়ে কোচ কাজ করবেন। ফলে সবাই মিলে তিন ম্যাচে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা থাকবে। এখান থেকে যেন পয়েন্ট নিয়ে যেতে পারি সেই চেষ্টা থাকবে। দেশের জন্য ভালো কিছু করতে চাই।’
চোটের কারণে অনেক ফুটবলার যেতে না পারায় ইন্দোনেশিয়াতে ২২ খেলোয়াড়কে পেয়েছেন ক্যাবরেরা। এশিয়ান কাপের জন্য মালয়েশিয়ায় দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ফরোয়ার্ড মাহবুবুর রহমান সুফিল। কিংসের এ ফুটবলার যোগ দেওয়ায় আক্রমণভাগের শক্তিটা আরও বেড়েছে। কারণ ক্যাবরেরার অধীনে তিন ম্যাচ খেলা বাংলাদেশ দল এখন পর্যন্ত মালদ্বীপ, মঙ্গোলিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার জালে বল জড়াতে পারেনি। স্কোরিংয়ের সমস্যাটাই এখন বড় দুশ্চিন্তা।
বিলম্বে ক্যাম্পে আসায় নাবীব নেওয়াজ জীবনকে বাদ দিয়ে সাজ্জাদ হোসেনকে নেন ক্যাবরেরা। জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক ম্যাচে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের এ তারকা। অবশ্য ফরোয়ার্ড লাইনের মতো মাঝমাঠেও সেদিন দুর্বলতা ফুটে উঠেছিল। কারণ সাজ্জাদকে ঠিকমতো বল বানিয়ে দিতে পারেননি কেউই। মধ্যমাঠ নিয়েও ভাবতে হচ্ছে বাংলাদেশ কোচকে। তবে এশিয়া কাপে সবচেয়ে বেশি ভাবতে হবে রক্ষণভাগকে নিয়ে।
কারণ প্রতিপক্ষ তিনটি দলই অ্যাটাকিং ফুটবল খেলবে- এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।