দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রিয়জনদের নিয়ে কুয়াকাটা সৈকতে আনন্দভ্রমণে আসেন পর্যটকরা। কিন্তু সৈকতে নামার পর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন করে পর্যটকরা অনেকটা আনন্দিত হলেও ফটোগ্রাফারদের হয়রানির কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন। এছাড়া সৈকতে ছাতা বেঞ্চের ভাড়া রাখা দ্বিগুণ হয় দ্বিগুণ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিনিয়ত সকাল থেকে কুয়াকাটা চৌরাস্তায় একদল ফটোগ্রাফার, ট্যুরিস্ট পুলিশ বক্সের সামনে একদল ফটোগ্রাফার এবং সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফার দল দাঁড়িয়ে থাকে।
একজন পর্যটক কুয়াকাটা চৌরাস্তা দিয়ে বিচের দিকে নামার সাথে সাথে তাকে চারপাশ দিয়ে ঘিরে ফেলেন ফটোগ্রাফাররা। সেখানে তারা ছবি তুলবেন না বলে - পর্যটকরা চলে এলে দ্বিতীয় দফায় ট্যুরিস্ট পুলিশবক্সের সামনে ফের তাদের ধরা হয়।
তৃতীয় দফায় সৈকতে গোসলে নামার সাথে সাথে তিন-চারজন ফটোগ্রাফার পর্যটকের পেছন পেছন ছুটে চলেন। এতে অনেকটা বিরক্ত হয়ে পরেন পর্যটকরা। এছাড়া সৈকতে ছাতা বেঞ্চে বসলেই ঘণ্টা-প্রতি দিতে হয় দ্বিগুণ ভাড়া - ৪০ টাকা। প্রশাসনের সঠিক তদারকি না থাকায় এ কাণ্ড ঘটছে বলে দাবি পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের। সৈকতে বেঞ্চ ব্যবসায়ী এবং ফটোগ্রাফারদের নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি পর্যটকদের।
ঢাকার মিরপুর থেকে কুয়াকাটা সৈকতে ঘুরতে আসা পর্যটক ইশরাফ জাহান লিমা বলেন, তিন দফায় আমাদের ছবি তোলার জন্য ফটোগ্রাফাররা ধরেছেন। এতে অনেকটা বিরক্ত হয়ে হোটেলে ফিরে এসেছি। আজ আর সমুদ্রে নামিনি।
কামরাঙ্গীরচর থেকে আসা পর্যটক রাহেলা-মিজান দম্পতি জানান, ফটোগ্রাফারদের কর্মকাণ্ড অনেকটা হেনস্তা করার মতো। আর বেঞ্চ ভাড়া আমাদের কাছ থেকে রাখা হয়েছে ঘণ্টায় ৪০ টাকা, এটা দ্বিগুণ রাখা হয়েছে। অন্য পর্যটন কেন্দ্রে এ রকমের কোনো জালিয়াতি নেই।
কুয়াকাটা ফটোগ্রাফার মালিক সমিতির সভাপতি আল-আমিন জানান, আমাদের দুই শ‘ সদস্য রয়েছে। নিয়ম হচ্ছে - চৌরাস্তায় নয়, সৈকতের আশেপাশে ফটোগ্রাফাররা দাঁড়িয়ে থাকবেন, পর্যটকরা পছন্দমতো ফটোগ্রাফারদের নিয়ে ছবি তুলবেন। এর বাইরে কেউ পর্যটকদের বিরক্ত করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।