চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২০ ঘণ্টা পেড়িয়ে গেলেও এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। নিহতের সংখ্যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ জনে। নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৭ জনের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে এবং ১৫ জনের নাম পাওয়া গেছে।
তারা হলেন, মোমিনুল হক, মহিউদ্দিন, হাবিবুর রহমান, রবিউল আলম, তোফায়েল ইসলাম, ফারুক জমাদ্দার, আফজাল হোসেন, মো. সুমন, মো. ইব্রাহিম, হারুন উর রশিদ, মো. নয়ন, শাহাদাত হোসেন, শাকিল তরফদার, শাহাদাত উল্লাহ জমাদার ও ফায়ার সার্ভিস কর্মী মনিরুজ্জামান।
এদিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে শনিবার (৪ জুন) দিবাগত রাত ৮টার কিছু পর ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধসহ আহত হয়েছেন ২ শতাধিক মানুষ। আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কমপক্ষে ২১ জন কর্মী। এছাড়া এক পুলিশ কনস্টেবলের পা বিচ্ছিন্নসহ অন্তত ১৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহত ১৩০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অগ্নিকান্ডের ঘটনায় গুরুতর আহত ১০ জনকে ঢাকায় আনা হচ্ছে। রোববার (৫ জুন) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁও পুরান বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) পরিচালক লে. কর্নেল আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ।
তিনি বলেন, সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৫০ জন সদস্য কাজ করছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ১০ জনকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা স্থানান্তর করা হবে। শনিবার রাত থেকে এ পর্যন্ত চট্টগ্রাম সিএমএইচে ১৫ জন রোগী ভর্তি আছেন। এ ছাড়া নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও প্রস্তুতু আছে সেবা দিতে। রোগীদের নিয়ে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।