পদ্মা সেতুর উভয় প্রান্তেই ম্যুরাল তৈরির শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে পুরোদমে। মাওয়া প্রান্তে ম্যুরাল স্থাপনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। দুই/এক দিনের মধ্যেই কাজ শেষ হবে। এরপর ফিনিশিং (ঘষামাজা করে) দেওয়া হবে। গতকাল পর্যন্ত ম্যুরাল তৈরির কাজের অগ্রগতি ছিল ৯০ শতাংশের ওপরে। আর ৭ জুন থেকে পদ্মা সেতুর স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ম্যুরাল স্থাপন করার কাজ শুরুর কথা রয়েছে।
এদিকে মার্বেল পাথরের আকর্ষণীয় নামফলকের ফিনিশিংয়ের কাজ (ঘষামাজা) চলছে। নামফলকের গাঁথুনি তৈরি করা হয়েছিল আগেই। এখন মার্বেল পাথরের নামফলক বসিয়ে দেওয়া শুধু বাকি। আজ থেকে গাঁথুনিতে মার্বেল পাথর বসানোর কাজ শুরু হবে। তবে লেখার অংশ স্থাপন শুরু হবে ১০ জুনের পর। ১৫ জুনের মধ্যে ম্যুরাল ও নামফলক স্থাপন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। পদ্মা সেতুর নামফলক হচ্ছে বড় আকৃতির। অনেকটা দূর থেকেই দেখা যাবে এই ফলক। “পদ্মা সেতু” নামকরণের গেজেট হওয়ার পরই মার্বেল পাথরের নামফলক তৈরি শুরু হয়ে যায়। মাওয়া প্রান্তে নামফলকটি ২২ দশমিক ৮৮ ফুট প্রশস্ত এবং ১২ ফুট উচ্চতা জাজিরা প্রান্তে একই ডিজাইনে নামফলক হচ্ছে-১৮ ফুট প্রশস্ত এবং সাড়ে ৮ ফুট উচ্চতা।
পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ম্যুরাল ও নামফলক স্থাপনের কাজসহ পদ্মা সেতুর শেষ পর্যায়ের কাজ ২০ জুনের মধ্যে শেষ হবে। ভালো টিমওয়ার্কের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর শেষ পর্যায়ের শেষের দিকের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে বলে তিনি জানান।