চট্টগ্রামের বিএম কন্টেনার ডিপোতে আগুনে দগ্ধ হয়ে ঢাকার বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ১৬ জনের মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুপুরে দগ্ধদের শারীরিক সার্বিক অবস্থা নিয়ে ব্রিফ করেছেন বার্ন ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম।
আইসিইউতে থাকা চারজনের মধ্যে ২ জন লাইফ সাপোর্টে। ফায়ার সার্ভিসের দুই কর্মী গাউসুলের (২২ বছর) ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাকে সকালে লাইফ সাপোর্টে দেয়া হয়। এরপর ফায়ার সার্ভিসের আরেক কর্মী রবিনকেও লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।
গতকাল সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আনার পর পর গাউসুল আজমকে আইসিইউতে নেয়া হয়। গাউসুল আজমসহ ফায়ার সার্ভিসের আরেককর্মী রবিন (২২ বছর) কে রাতে আইসিইউকে নেয়া হয়।
এর আগে রবিবার সকালে স্বজনদের উদ্যোগে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হওয়া বিএম কন্টেনারের নিরাপত্তা ইনচার্য মাকফুরুল ইসলামকে (৬৫ বছর) রবিবার (গতকাল) দুপুরে আইসিইউতে নেয়া হয়েছিল।
সর্বশেষ আজ সকালে ফরমানুল ইসলাম (৩০ বছর) নামের আরেক দগ্ধকে (৩০ শতাংশ বার্ন।) আইসিইউতে নেয়া হয়। বাকি ১১ জনের মধ্যে ১০ জনকে পোস্ট ওপারেটিভ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। বেলা সোয়া বারোটায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম এসব তথ্য জানান।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দগ্ধদের শরীরে র্যাস ছাড়াও কারো কারো বুকে/ক্ষতস্থানে পানি এসেছে যেটা একাবেরই তাদের কাছে অচেনা। ফুসফুসের ইনফেকশন জনিত কারণে সাধারনত পানি আসতে পারে। কেমিক্যাল বার্নের কারণে দগ্ধদের চোখে মুখে শ্বাসনালি পুড়ে গেছে।