২০২৪ সালে দেশের রপ্তানি আয় ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, “চলতি বছর রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা আমরা ৫১ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছিলাম। এখন আশা করছি, সেটা এবছর ৬০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যাবে। আর ২০২৪ সালে আমাদের রপ্তানি আয় ৮০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে, আমি আশাবাদী।”
সোমবার রাজধানীর পল্টনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শহীদ শেখ কামাল মিলনায়তনে আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর আয়োজিত স্বাধীনতার ৫০ বছরে ৫০ ধরনের সেবা অনলাইনে প্রদান উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সন মো. মফিজুল ইসলাম, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের প্রধান নিয়ন্ত্রক শেখ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কতিপয় মহল দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার নেতিবাচক সমালোচনা করছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রতিনিয়ত প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হচ্ছে। দেশ উন্নতির দিকে যাচ্ছে। এর বড় উদাহরন ব্যবসায়িদের সেবা প্রদানকারি প্রতিষ্ঠান আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর এখন শতভাগ ডিজিটাল সেবা প্রদান করছে। লাইসেন্সসহ প্রায় ৫২টি সেবা এখন অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।” সেবা নেয়ার জন্য আগামীতে কাউকে আর অফিসে আসার প্রয়োজন হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি এক জরিপের তথ্য উল্লেখ করে বলেন, “এখন জাপানের ৮৮ ভাগ ব্যবসায়ী বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা করতে চায়। দেশ বদলে গেছে বলেই তাদের এই আগ্রহ।” জাপানীরা বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করতে আগ্রহী বলেও তিনি জানান।
আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের কর্মকর্তাদের সততার সাথে তাৎক্ষনিক ডিজিটাল সেবা প্রদানের আহবান জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, “আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের দিকে এগুচ্ছি। মানুষকে যেন আর অফিসে এসে সেবা নিতে না হয়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।”
তিনি বলেন, “আমরা চাই এই অফিস থেকে চিরতরের জন্য অসততা দূর হোক। ব্যবসায়ীদের যেন আর কষ্ট না পেতে হয়।”
আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সরকারের এই জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করতে গিয়ে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন। এর উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে আমাদের সাহস ও শক্তিমত্তার পরিচয় নতুন করে তুলে ধরা হচ্ছে।”
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে এখন থেকে অফলাইনে অর্থ্যাৎ অফিস থেকে আর কোন সেবা প্রদান করা হবে না। ব্যবসায়ীরা এই অফিসের সব সেবা অনলাইনে পাবেন।
আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের প্রধান নিয়ন্ত্রক শেখ রফিকুল ইসলাম জানান, ব্যবসায়ী বা সেবাগ্রহীতা অনলাইনে আবেদন করে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত সনদসহ অন্যান্য সেবা পাচ্ছেন। এক্ষেত্রে সেবাগ্রহীতার ডকুমেন্টস এর হার্ডকপি দাখিলের প্রয়োজন নেই। একজন সেবাগ্রহীতা তার প্রতিষ্ঠানের নামে একটি মাত্র অনলাইন লাইসেন্সিং মডিউল (ওএলএম) একাউন্ট খুলবেন এবং আজীবন এই একাউন্টের মাধ্যমে কাঙ্খিত সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। কোন তৃতীয় ব্যক্তির এখানে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সূত্র: বাসস