সাভারের বলিয়ারপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীসহ চারজন নিহতের ঘটনায় সেই সেফ লাইন পরিবহনের চালক মারা গেছেন। মৃতের নাম মারুফ হোসেন মুন্না (২৫)। গতকাল সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজধানীর শেরেবাংলা থানার এসআই পলাশ চৌধুরী।
মারুফ হোসেন মুন্না চাঁদপুরের বোয়ালিয়া গ্রামের মোস্তফা কামালের ছেলে। ঢাকার দারুস সালাম এলাকায় থেকে গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,রোববার সকালে সাভারে দুর্ঘটনার পরপরই তাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিন দুপুরে হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়। পরে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে।
নিহতের দুলাভাই সৌরভ মিয়া বলেন, মারুফ দারুস সালাম এলাকায় থেকে চার বছর ধরে গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। বর্তমানে ঢাকা-কুষ্টিয়া সড়কে ইকবালের মালিকানাধীন সেফ লাইন পরিবহনের বাস চালাতো। রোববার দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে যাওয়ার আগেই মারুফের মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সাভার হাইওয়ে থানার মোস্তাফা বলেন, সেফ লাইন পরিবহনের সেই বাসের চালক মারুফ হোসেন মুন্না মারা গেছেন। সোমবার রাত ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। বাসের মালিকের নাম ইকবাল। তার বিস্তারিত পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, রোববার সাভারের বলিয়ারপুরে সেফলাইন বাসের ধাক্কায় পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের স্টাফ বাসের চালক, দুই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও আরেক প্রকৌশলী নিহত হন। এ ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ৯ কর্মকর্তা এখনো সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় বাসচালকের বিরুদ্ধে মামলা করেন সাভার হাইওয়ে থানার এএসআই ফজলুল হক। ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন বাসচালক মারুফ। এরই মধ্যে তার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল।