ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের হুমকি সত্ত্বেও দেশটিতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেছেন, এম২৭০ রকেটব্যবস্থা রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে নিজেদের রক্ষায় ইউক্রেনকে সাহায্য করবে। বিবিসি জানিয়েছে, ইউক্রেনে তিনটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বিতভাবে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাজ্য। এর আগে গত সপ্তাহে ইউক্রেনে একটি রকেটব্যবস্থা পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন ঘোষণার পর এর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় মস্কো। রবিবার রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহকারীদের হুশিয়ার করেন। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো যদি কিয়েভকে দূরপাল্লার অস্ত্র পাঠায় তা হলে ইউক্রেনের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা বাড়াবে রুশ বাহিনী।
যুক্তরাজ্য সরকার জানিয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহ যুক্তরাজ্যে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের এ দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
বেন ওয়ালেস আরও বলেন, কোনো উসকানি ছাড়াই ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। আত্মরক্ষায় ইউক্রেনের কাছে এখন এসব অস্ত্র অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর মাধ্যমে ইউক্রেনীয় সেনাদের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র সরবরাহের ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় অবস্থানে উঠে আসবে যুক্তরাজ্য। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার কৌশলে যেভাবে পরিবর্তন এসেছে, সেভাবে আমাদের সাহায্যেও পরিবর্তন আবশ্যক।’
এদিকে সিএনএন জানিয়েছে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার আরও একজন জেনারেল নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর পর প্রায় সাড়ে তিন মাসে বেশ কয়েকজন রুশ জেনারেল নিহত হয়েছেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। আল জাজিরা জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৩১ হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছে বলে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
রাশিয়া বলছে, ইউক্রেনকে নিরস্ত্র ও নব্য নাৎসিমুক্ত করতে তারা দেশটিতে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালাচ্ছে। নব্য নাৎসিরা ইউক্রেনের রুশভাষী জনগোষ্ঠীর জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। তবে হামলার কারণ হিসেবে রাশিয়ার এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ কিয়েভের পশ্চিমা মিত্রদেশগুলো।
সূত্রঃ আমাদের সময়.কম