টি-টোয়েন্টিতে তামিম ইকবালের নিজের ভবিষ্যত নিয়ে করা এক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বিপরীত অবস্থানে দাঁড়িয়ে সেটিকে ‘মিথ্যাচার’ বলে দাবি করেছিলেন। এবার পাপনের সেই বিস্ফোরক দাবির পাল্টা জবাব দিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক।
তামিমের বক্তব্যের একদিন পরই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপন ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিমের ঐ বক্তব্যকে ‘মিথ্যাচার’ বলে দাবি করে বলেন, ‘আমরা যে তামিমের সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে ওর ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলিনি এটা স্রেফ মিথ্যা কথা। তাকে আমি আমার নিজের বাসায় ডেকে চারবার টি-টোয়েন্টি খেলতে অনুরোধ করেছি। বোর্ডের অন্য সদস্যরাও তাকে অনুরোধ করেছে, সে বলেছে খেলবে না। এখন দেখেন কী বলছে সে।’।
বিসিবি সভাপতির এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার (৭ জুন) নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক।
নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন তামিম ঐ ফেসবুক পোস্টে জানান, বিশ্রামের ছয় মাস শেষ হওয়ার পরই এসব বিষয়ে কথা বলবেন তিনি। উল্লেখ্য, টি-টোয়েন্টি থেকে তামিমের ছয় মাসের বিশ্রাম শেষ হবে আগামী ২৭ জুলাই।
বাংলাদেশ জার্নালের পাঠকদের জন্য তামিমের সেই ফেসবুক পোস্টটি সম্পূর্ণ নিচে তুলে ধরা হলো-
‘আমার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি কথার সূত্র ধরে অনেকে বিভ্রান্ত হচ্ছেন বা মিডিয়ায় কিছু বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে দেখতে পাচ্ছি। দুই দিন আগে একটি অনুষ্ঠানে আমি স্পষ্ট করে বলেছি, আমার ঘোষণা আমি দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছি না, অন্যরাই নানা কিছু বলে দিচ্ছে। এখানে বোর্ড কমিউনিকেট করেনি বা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি, এরকম কোনো কথা আমি একবারও বলিনি।
বোর্ড থেকে কয়েকবারই আমার সঙ্গে আলোচনা করেছে টি-টোয়েন্টি নিয়ে। আমি ৬ মাসের বিরতি নিয়েছি বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে। এরপরও বোর্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে কয়েক দফায়। এটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন আমি কখনোই তুলিনি।
আমি সেদিন অনুষ্ঠানে যা বলেছি, আজকে আবার বলছি, “টি-টোয়েন্টি নিয়ে আমার যে প্ল্যান, সেটা তো আমাকে বলার সুযোগই দেওয়া হয় না। হয় আপনারা (মিডিয়া) বলে দেন, নয়তো অন্য কেউ বলে দেয়। তো এভাবেই চলতে থাকুক। আমাকে তো বলার সুযোগ দেওয়া হয় না। এতদিন ধরে আমি ক্রিকেট খেলি, এটা ডিজার্ভ করি যে আমি কী চিন্তা করি না করি, এটা আমার মুখ থেকে শোনা। কিন্তু হয় আপনারা কোনো ধারণা দিয়ে দেন, নয়তো অন্য কেউ এসে বলে দেয়। যখন বলেই দেয়, তখন আমার তো কিছু বলার নেই।”
এটুকুই বলেছিলাম। এখানে কি উল্লেখ আছে যে কেউ যোগাযোগ করেনি? এরকম কোনো শব্দ বা ইঙ্গিত আছে? খুবই সাধারণ ভাষায় বলেছি, আমার কথা আমাকে বলতে দেওয়া হচ্ছে না। ৬ মাসের বিরতি নিয়েছি, এর মধ্যেও মিডিয়া নানা কথা লিখে বা বলে যাচ্ছে, অন্যরাও কথা বলেই যাচ্ছেন।
বোর্ডের সঙ্গে আমার যোগাযোগ নিয়মিতই আছে এবং তারা খুব ভালোভাবেই জানে, টি-টোয়েন্টি নিয়ে আমার ভাবনা কোনটি। আমি স্রেফ নিজে সেই কথাটুকু বলতে চাই, সেই সময়টুকু চাই।
সময় হলে আমার সিদ্ধান্ত নিশ্চয়ই আমি জানাব। ৬ মাস হতে তো এখনও দেড় মাসের বেশি বাকি। কিন্তু সেই সময়টার অপেক্ষা কেউ করছে না। এটাই দুঃখজনক।’
সূত্রঃ বাংলাদেশ জার্নাল