দেশের বহুল আলোচিত-সমালোচিত মডেল ও বিতর্কিত অভিনেত্রী সানাই মাহবুব। বিভিন্ন কারণে কিছুদিন পরপর আলোচনায় আসেন তিনি। তাকে ঘিরে জন্ম হয় নতুন নতুন আলোচনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খোলামেলা বিচরণ তার। কাজ করেছেন গানের মডেল ও চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী হিসেবে। যদিও চলচ্চিত্রটি এখনও আলোর মুখ দেখেনি।
তবে গত বছর অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন সানাই মাহবুব। তারপর থেকেই আর আলোচনায় নেই তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচল থাকলেও আগের মতো খোলামেলাভাবে আর দেখা যায় না তাকে। তিনি সম্পন্ন ইসলামিক জীবনযাপন করছেন।
এদিকে অভিনয়ের কোনো খবর না থাকলেও হঠাৎ চমকে দিয়েছেন নতুন খবরে। গত শুক্রবার (২৭ মে) বিয়ে করেন তিনি। পাত্রের নাম আবু সালেহ মুসা। পেশায় তিনি একজন বেসরকারি ব্যাংকে কর্মকর্তা। বর্তমানে তিনি নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়ন দক্ষিণ দুরকুঠি এলাকার বাসিন্দা। তার পিতার নাম আনছার আলি।
এদিকে বিয়ে করার পর থেকেই নেটিজেনদের কড়া সমালোচনার মধ্যে পড়েন। আর এ বিষয়ে এবার মুখ খুললেন তিনি। সোমবার (৬ জুন) তার ভেরিভাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি লেখেন, Indeed Allah is the most merciful.
আল্লাহ ক্ষমাশীল, আল্লাহ ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। কিন্ত এই সমাজের কিছু মানুষ কি এটা বোঝে? বুঝলেও কী মানে? যেখানে মহান আল্লাহ ক্ষমা করতে পছন্দ করেন সেখানে সমাজের এ রকম ২,৪,১০ জন অমানুষ আমাকে নিয়ে কী ভাবল, কি করল, কানলো না হাসলো তাতে আমার কিছুই যায় আসে না! জাস্ট কিচ্ছু যায় আসে না! কারণ, এ রকম বহু মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ইসলামের পথে আসার জন্য। আমি তাদের গুণগ্রাহী। আমি ইসলামের পথে অটুট থাকব ইনশাআল্লাহ। দোয়া রাখবেন আমার জন্য যেন দ্রত ওমরাহ করতে পারি।
প্রসঙ্গত, সানাইয়ের অধিকাংশ কাজই সমালোচিত। অশ্লীলতার অভিযোগে ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারিতে ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ইউনিটের সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগে হাজিরাও দিয়েছিলেন। সে সময় মুচলেকায় সই করে ছাড়া পান। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের এক মন্ত্রীকে বিয়ে করছেন বলে নতুন করে আলোচনায় আসেন। যদিও পরে শোনা যায় মন্ত্রী নয় এমপিকে বিয়ে করছেন। কিন্তু এমপির পরিচয় গোপন রেখেছিলেন।