বাহরাইন শক্তিশালী, ফিফা র্যাঙ্কিংয়েও বাংলাদেশের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যানও পক্ষে নেই লাল-সবুজদের। তথ্যগুলো খুব ভালোভাবে জানেন জামাল ভূঁইয়া। মানেনও। কিন্তু তাতে বাংলাদেশ অধিনায়কের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরছে না একটুও। বরাবরের মতোই সোজাসাপ্টা বলে দিলেন, কমতি আছে সব দলেরই। বাহরাইনের দুর্বল জায়গায় আঘাত করে তাদের চমকে দেওয়ার আশাবাদও জানালেন প্রত্যয়ী কণ্ঠে।
মালয়েশিয়ার কুয়ালা লামপুরে বুকিত জলিল জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে বাহরাইনের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে শুরু হবে ম্যাচটি।
র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের (১৮৮) চেয়ে ৯৯ ধাপ এগিয়ে বাহরাইন। এশিয়ান কাপে বাংলাদেশ প্রথম এবং সবশেষ খেলেছে ১৯৮০ সালে। আর বাহরাইন ২০০৪ সালে হয়েছিল চতুর্থ। দুই দলের প্রথম এবং সবশেষ দেখা হয়েছিল ১৯৭৯ সালে; প্রেসিডেন্টস কাপের সেই অভিজ্ঞতা অবশ্য সুখকর নয়, ২-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ।
বাছাইয়ে ‘ই’ গ্রুপে কেবল বাহরাইন নয়, বাকি দলগুলোও র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে; তুর্কমেনিস্তান ১৩৪তম ও স্বাগতিক মালয়েশিয়া ১৫৪তম। কিন্তু র্যাঙ্কিংই শেষ কথা নয় মোটেও। কদিন আগে যেমন এগিয়ে থাকা ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে তাদের মাটিতেই গোলশূন্য ড্র করেছে বাংলাদেশ।
বাংদুংয়ের ওই ম্যাচে গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স আর জমাট রক্ষণের দৃঢ়তায় ইন্দোনেশিয়াকে আটকে দেয় বাংলাদেশ। বাহরাইন ম্যাচেও রক্ষণ অটুট রেখে পাল্টা আক্রমণের ছকে খেলার ইঙ্গিত দিলেন স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। কদিন আগের প্রাপ্তি ভুলে যাওয়ার পরামর্শও দিলেন দলকে।