আগামীকাল সংসদে উপস্থাপন করা হবে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট। রাষ্ট্র পরিচালনা ও উন্নয়নে ব্যয় বাড়ছে চলতি অর্থবছেরর চেয়ে ৭৫ হাজার কোটি টাকা। যদিও, জিডিপির বিবেচনায় বাজেটের আকার এবার ২ শতাংশ কমছে।
অন্যদিকে, ব্যয়ের সাথে আয় ততটা বাড়বে না ধরে নিয়ে বাজেট ঘাটতিও বড় হচ্ছে। এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হচ্ছে সাড়ে ৭ শতাংশ আর মূল্যস্ফীতি বেঁধে রাখা হবে সাড়ে ৫ শতাংশে।
দেশের ইতিহাসের ৫১ তম আর আওয়ামীলীগ সরকারের অধীনে ২২ তম জাতীয় বাজেট ঘোষণা হতে যাচ্ছে বৃহস্পতিবার। জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া আগামী অর্থবছরের জন্য সরকার খরচ করতে চায় ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছর বাজেটের আকার ধরা হয় ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।
এবারের বাজেটে অনুন্নয়ন খাতে ব্যয় ধরা হচ্ছে চার লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা । যা মোট বাজেট বরাদ্দের প্রায় ৬৪ শতাংশ।
করোনার প্রভাব কাটিয়ে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার পর্যায়ে শুরু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যার ধাক্কায় আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। পাশাপাশি ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নে দেশে ভোগ্যপণ্যের দাম আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় ভর্তুকি বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায় সরকার। এজন্য বাজেটে প্রণোদনা ও ভর্তুকিতে বরাদ্দ থাকছে ৮৩ হাজার কোটি টাকা। এর বেশিরভাগই যাবে কৃষি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে।
আসন্ন অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ থাকছে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। বরাবরের মতোই সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে পরিবহন ও যোগাযোগ।
বাজেটে মোট আয় ধরা হচ্ছে প্রায় ৪ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে আদায় করতে হবে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর-বহির্ভূত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ১৮ হাজার কোটি টাকা। বাকিটা আসবে কর-বহির্ভূত রাজস্ব থেকে।
বাজেট ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা । যা দেশের জিডিপির ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এজন্য বৈদেশিক ঋণ ও সহায়তা পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ৯৫ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেয়া হবে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা,বাকিটা মিটবে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নিয়ে।
আসন্ন বাজেট বর্তমান সরকারের সময়ে একটি পূর্ণাঙ্গ শেষ বাজেট। ফলে ব্যাপক কর্মসংস্থান তৈরির মাধ্যমে মানুষের আয় ও জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে চায় সরকার।