কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হওয়া সেই ব্যবসায়ী ফিরোজ বাড়ি ফিরেছেন। মঙ্গলবার (৭ জুন) পটুয়াখালীতে ফিরোজ পুলিশকে জানান, সাগরে বেশ কিছুটা ভেসে চলে গিয়েছিলেন তিনি। সে সময় ভেসে আসা একটি কলাগাছ ধরে চেন্নাই পৌঁছে গিয়েছিলেন। ভারতের জেলেরা তাকে উদ্ধারের পর সে দেশের সরকার কলকাতা হয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে ফিরোজকে। নিখোঁজের ১৩ দিন আর সন্ধান পাওয়ার মাত্র তিনদিনের মাথায় তার ফিরে আসার ঘটনায় হতবাক প্রতিবেশী আর পুলিশ।
এর আগে, গত ২৬ মে পটুয়াখালীর গলাচিপার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ফিরোজ শিকদার আত্মীয় ও বন্ধুসহ ৭ জনকে নিয়ে গিয়েছিলেন কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে। পরদিন গোসল করার সময় ওই ব্যবসায়ী নিখোঁজ হন বলে তার ভাই মহিপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। অনেক খোঁজাখুজির পর ৪ জুন পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ফিরোজ ভারতের চেন্নাইয়ে আছেন এবং তাকে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা হচ্ছে।
কলাগাছ ধরে কুয়াকাটা থেকে চেন্নাইয়ের গল্প শেষ হতে না হতেই তিনদিনের মাথায় পটুয়াখালী ফিরেছেন ফিরোজ। তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। সেই অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে ফিরোজ শিকদার বলেন, সমুদ্রে ভেসে আসা একটি কলাগাছ পেয়ে সেটিকে আঁকড়ে ধরেছিলাম। প্রচণ্ড ঢেউয়ের মধ্যে প্রায় ১ দিন সেইভাবেই ভেসে ছিলাম আমি। পরে জেলেরা আমাকে খুঁজে পায়। আমি তাদের থেকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারি, এটি ভারত।
সাগরে কলাগাছ আর দ্রুতসময়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরা! অবাক প্রত্যাবর্তন জন্ম দিয়েছে প্রশ্ন আর রহস্যের। ফিরোজের বক্তব্য যাচাই করাসহ পুরো বিষয়টি অনুসন্ধান করছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এ নিয়ে পটুয়াখালীর মহিপুর থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, ফিরোজ শিকদারের বক্তব্য যাচাইবাছাই চলছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে আপাতত তাকে তার বড় ভাইয়ের জিম্মায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি। জিডি তুলে নেয়ার পর ফিরোজকে পরিবারের সদস্যদের কাছে তুলে দেয় পুলিশ।