ফরিদপুরের সালথায় লাবনী বেগম নামে দুই সন্তানের এক জননীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে নুরুল আলম নামে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। সম্পর্কে লাবনী ওই সদস্যের চাচি হন। দীর্ঘদিন প্রেমের পর মঙ্গলবার গভীর রাতে তারা পালিয়ে যান বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে লাবনী বেগম উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের গোলপাড়া গ্রামের মো. জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী। তার দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। ঘটনার পর থেকে মায়ের জন্য খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দিয়ে শুধু কান্নাকাটি করছে সন্তানরা। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় লাবনীর স্বামী জাহিদুল ইসলাম বুধবার দুপুরে সালথা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, লাবনীর সঙ্গে তার প্রতিবেশী ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল আলমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নুরুল আলম ছিলেন অবিবাহিত। যদিও লাবনী ও নুরুল আলম সম্পর্কে চাচি-ভাতিজা। দীর্ঘদিন ধরে লাবনীর বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন নুরুল। লাবনীর স্বামী জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমার স্ত্রী মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে ঘর থেকে বের হয়। কিন্তু ঘরে ফিরতে দেরি দেখে আমি বের হয়ে তাকে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও পাই না। পরে জানতে পারি সে প্রতিবেশী ইউপি সদস্য নুরুল আলমের সঙ্গে চলে গেছে।
গত ১০ বছর আগে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের সিংহপ্রতাপ গ্রামের মো. মোফাজ্জল খালাসির মেয়ে লাবনী আক্তারের সাথে জাহিদুল ইসলামের বিয়ে হয়।
সালথা থানার এসআই আওলাদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে ওই গৃহবধূর স্বামী একটি নিখোঁজ-সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরি করেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।