চৌগাছা উপজেলার জগদীশপুর গ্রামে একসঙ্গে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রেমিক-প্রেমিকা। তবে সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রেমিকা কীটনাশক পান করার পরপরই পালিয়ে যান প্রেমিক। এ সময় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (৮ জুন) সকাল ১০টার দিকে ওই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থ প্রেমিকা স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।
অভিযুক্ত টগর (৩০) চৌগাছা উপজেলার জগদীশপুর গ্রামের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগীর মা জানান, তার মেয়ের সঙ্গে টগর নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। কয়েক দিন আগে তারা বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তবে তাদের বিয়ে মেনে নিতে রাজি হয়নি কোনোপক্ষই। বুধবার (৮ জুন) সকাল ১০টায় প্রেমিক তার মেয়েকে স্কুলের পেছনের মাঠে ডেকে নিয়ে জানায়, ‘তারা দুজন একসঙ্গে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করবে’। টগর নিজে কীটনাশক কিনে আনে। প্রেমিক (টগর) তার মেয়ের হাতে কীটনাশক তুলে দিলে, সে তা পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় টগর পালিয়ে যান। পরে স্কুলের শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে মেয়েটিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার বলেন, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোরে জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ জানান, ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।