প্রবল হামলার মুখে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর সেভেরোদোনেৎস্ক থেকে পিছু হটতে শুরু করেছে দেশটির সেনারা। এ ছাড়া ক্রিমিয়ার পর আরও দুটি শহর নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে রাশিয়া। এদিকে বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তায় রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ মারাত্মক প্রভাব ফেলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে তীব্র হামলা অব্যাহত রেখেছে রুশ বাহিনী। এসব অঞ্চলের বাসিন্দারা বেসমেন্টে দিন কাটাচ্ছেন। আর প্রবল হামলার মুখে টিকতে পারছেন না ইউক্রেনীয় সেনারা। তারা পিছু হটেছে।
কিছুদিন আগেও ইউক্রেনের সেনাবাহিনী সেভেরোদনেৎস্কে রুশ বাহিনীকে রুখে দেওয়ার চেষ্টা করে এবং তারা শহরটির প্রায় অর্ধেক নিজেদের নিয়ন্ত্রণেও এনেছিল। কিন্তু রুশ সেনা ও বিমানবাহিনী ওই এলাকায় প্রবল বোমাবর্ষণ শুরু করলে সেসব এলাকা আর দখলে রাখতে পারেনি ইউক্রেনীয় বাহিনী।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, সেভেরোদনেৎস্ক নিয়ন্ত্রণে নেয়ার ওপরই দনবাস অঞ্চলের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। একইসঙ্গে একে সবচেয়ে কঠিন যুদ্ধগুলোর মধ্যে একটি বলে বর্ণনা করেন তিনি বলেন, যুদ্ধের ১০৫তম দিনের শেষে সেভেরোদনেৎস্ক দনবাস লড়াইয়ের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। আমরা আমাদের অবস্থান রক্ষা করছি।
ক্রিমিয়ার পর আরও আরও দুই শহর নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করছে রাশিয়া। রুশ সেনারা সবার আগে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের বন্দরনগরী খেরসনের দখল নিয়েছিল। শহরটিকে যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে মস্কো। ক্রিমিয়ার কাছেই খেরসন শহরের অবস্থান।
একইসঙ্গে জাপোরঝিয়া শহরকেও নিজেদের অঞ্চল হিসেবে যুক্ত করতে চান পুতিন। জানা গেছে, খেরসন শহরে শিগগিরই রুশ পাসপোর্ট সরবরাহ করা হবে। খেরসনের বাসিন্দাদের রাশিয়ার নাগরিকত্ব দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হবে।
এদিকে রাশিয়া কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের বন্দরগুলো খুলে না দিলে খাদ্য সংকটে বিশ্বে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে শঙ্কা অর্থনীতিবিদদের। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের মারাত্মক প্রভাব পড়বে বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তায়।
এ অবস্থায় রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যকার সংকট নিরসনে মধ্যস্থতার ভূমিকা পালনে আগ্রহী তুরস্ক। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলেত কাভুসোগলু বলেন, ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানি বন্ধ হওয়া যুদ্ধের একটি নেতিবাচক প্রভাব। শিগগিরই এই অচলাবস্থা কাটিয়ে রপ্তানি চালু করা উচিত।