শিক্ষায় বিনিয়োগ ডিজিপির ছয় ভাগে যেতে হবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বড় বড় প্রকল্পগুলো শেষ হলে শিক্ষাই হবে সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্প।
তিনি বলেছেন, শিক্ষায় বিনিয়োগ ডিজিপির ছয় ভাগে যেতে হবে। বর্তমানে আমরা তিন ভাগে আছি। ২০০৬ সালে আমাদের সারা দেশের যা বাজেট ছিল, এখন শিক্ষার বাজেটই তার চেয়ে অনেক বেশি। শিক্ষায় আমরা অনেক বিনিয়োগ করছি, আরও করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সেন্ট জোসেফ স্কুলে বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রমে শিক্ষক হবেন গাইড। শিক্ষার্থীদের আনন্দময় শিক্ষায় প্রবেশ করাতে শিক্ষকরা পরিচালকের ভূমিকা পালন করবেন। কীভাবে আনন্দের সঙ্গে পড়া যায়, শেখা যায়, বোঝা যায় আমরা সেই পরিবর্তন আনতে চাই। আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষাকে আনন্দময় করতে চাই।
শিক্ষকের ভূমিকায় পরিবর্তন আসছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পরিবর্তন অনেকটা এই রকম— শিক্ষক এখন ফেসিলিটেটর হবেন, গাইড হবেন। শিক্ষার্থীর আনন্দের অংশীদার হবেন। শিক্ষার্থীকে তার শিক্ষার জগতটাকে শিক্ষক তৈরি করে দেবেন। আমরা অনেক যত্ন করে এটি (নতুন শিক্ষাক্রম) তৈরি করেছি। যেন শিক্ষার্থীরা আনন্দের মধ্যে শিক্ষার জগতটাকে খুঁজে নিতে এবং শিক্ষার জায়গাটাকে পূরণ করতে পারে।
শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান শেখা বাধ্যতামূলক জানিয়ে দীপু মনি বলেন, এর আগে তিনটি শিল্প বিপ্লব পার হয়ে গেছে। সেগুলো আমরা ধরতে পারিনি। তথ্যপ্রযুক্তির নতুন জায়গায় আমরা এসেছি। কিন্তু তার আগেরগুলো আমরা ধরতে পারিনি। তাই চতুর্থ শিল্প বিপ্লব শুধু ধরতে পারা নয়, আমাদের এর সফল অংশীদার হতে হবে। এজন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। আর তাই বিজ্ঞান শিক্ষার ওপর অনেক বেশি জোর দিতে হবে।
অন্যান্য বিষয়ের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, একইসঙ্গে আমি এই কথাটিও বলতে চাই— বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি, গণিত, পরিসংখ্যান, প্রকৌশল পড়তে হবে। কিন্তু সাহিত্য ও নন্দনতত্ত্বের বোধ যদি তৈরি না হয় তাহলে শুধু বিজ্ঞান, গণিত তথ্যপ্রযুক্তি পড়ে পূর্ণাঙ্গ মানুষ তৈরি হবে না। সে কারণে সাহিত্যও পড়তে হবে। তাই আমরা যেন এর সবকিছু মেলাতে পারি, সে চেষ্টা করছি।