পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটসহ সংশ্লিষ্ট স্থান পরিদর্শন করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এসময় চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী তার সঙ্গে ছিলেন।
শনিবার (১১ জুন) সকাল ৯টার দিকে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বাংলাবাজার ঘাটের বিভিন্ন পয়েন্ট পর্যবেক্ষণ করেন। তারা জনসভায় সারাদেশ থেকে নৌযানে আসা মানুষের জন্য ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো সরেজমিনে দেখেন। সেইসঙ্গে তারা লঞ্চঘাট ও জনসভাস্থল পরিদর্শন করেন।
এসময় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে ঐতিহাসিক জনসভার মূল সমন্বয়ক চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। তিনি যেভাবে নির্দেশনা দিচ্ছেন সেভাবেই নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আজও তিনি ঘাট ব্যবস্থাপনা দেখিয়ে দিলেন। তিনশোর ওপরে বড়-মাঝারি লঞ্চ এই জনসভায় আসবে। সেগুলোর ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নির্দেশনা দিলেন।
নৌপ্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাসে এত উৎসবমুখর অনুষ্ঠান আর কখনো হয়নি যেটা ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হতে যাচ্ছে। ১৭ কোটি মানুষের দেশটিই সেদিন থাকবে পদ্মা সেতুর জনসভার দিকে। পুরো বাংলাদেশেই ওইদিন জনসভা হয়ে যাবে।
নৌযান শ্রমিকদের বেকার হয়ে পড়ার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী তখন এদেশে কেউ বেকার থাকবে না। সবারই কর্মসংস্থান হবে।
চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, জনসভাস্থলে ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। এর সঙ্গে সারাদেশেই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। জনসভা সফল করতে প্রতিদিনই আমাদের মন্ত্রী ও নেতৃবৃন্দ আসছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে চিফ হুইপ বলেন, আমার ধারণা ১০ লাখের বেশি মানুষ প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আসবেন। সারাদেশের মানুষই সেদিন পদ্মা সেতুর জনসভার দিকে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকবেন। তারা যেন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে পারেন তার সব সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এসময় বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক, মাদারীপুর জেলা পরিষদ প্রশাসক মুনির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোস্তফা রাসেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।